পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8 বংশ-পরিচয় । তিনি ব্ৰাহ্মণেতার জাতির মধ্যে অল্পবয়স্কদের মধ্যে বিধবা বিবাহের প্ৰচেষ্টা ও স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারের চেষ্টা এবং রাঢ়ীয় ও বারেন্দ্রগণের মধ্যে বিবাহের চেষ্টা প্ৰভৃতি করিয়া যান। র্তাহার। ভ্ৰাতাগণ প্ৰত্যেকেই প্ৰাচীন প্ৰণালীতে শিক্ষিত ছিলেন। অল্পাধিক সাহিত্যচর্চা এবং Natural History চৰ্চা এই পরিবারের মজাগত। মহারাজের ভ্রাতাগণের মধ্যে কেহ কেহ সাহিত্যক্ষেত্রে লব্ধ প্ৰতিষ্ঠ হইয়া গিয়াছেন। শিবকৃষ্ণ এখনও জীবিত ; তিনি “কবুতর’, ‘ময়না এবং অন্যান্য পশু পক্ষী সম্বন্ধে নিজ ভূয়োদর্শনের ফল প্ৰবন্ধকারে জনসমাজকে উপহার দিয়াছেন। কমলকৃষ্ণ সাহিত্যসেবীর উৎসাহদাতা ছিলেন এবং বহু পাণ্ডুলিপি সংগ্ৰহ করিয়া গিয়াছেন। পুরাতন পাণ্ডুলিপি সকলেই সংগ্ৰহ করিয়া তাহাকে উপহার দিত। সুসঙ্গে পূর্ববঙ্গের দরিদ্র কবি গোবিন্দদাস কিছুকাল ছিলেন ; কমলকৃষ্ণ ‘অশ্বতত্ত্ব” “গােপালন” “আম্র” “জাতীয় সঙ্গীত”, “তুৰ্য্যবরঙ্গিণী” প্ৰভৃতি পুস্তক প্ৰকাশ করিয়া যান। জগৎকৃষ্ণের সংস্ক ত সাহিত্যে সবিশেষ অধিকার ছিল । পশ্চিম বঙ্গে যেরূপ ঠাকুরবাড়ী সর্বপ্রকার শিক্ষাদীক্ষায় অগ্ৰণী, পূর্ববঙ্গে সুসঙ্গ পরিবারও সেইরূপ সর্বাগ্রেগণ্য। সত্তা বজায় রাখিয়া সময়োপযোগী ভাবগ্রহণের অসাধারণ ক্ষমতা এই পরিবারে বিদ্যমান । বস্তুতঃ সাহিত্যচৰ্চা এবং সমাজসংস্কারবিষয়ে এই পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তিই বিশেষ উৎসাহ প্ৰদৰ্শন করেন । মহারাজা রাজকৃষ্ণের পর কুমুদচন্দ্ৰ মহারাজা উপাধির অধিকারী হন। নানা কারণে কুমুদচন্দ্রের জীবন নানা প্রকার অশান্তিতে পূর্ণ ছিল। তাহার সময়েই বিশ্বনাথের। প্ৰবৰ্ত্তিত খান্দান প্রথার তিরোভাবে প্ৰকৃত অশান্তির