পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩৫

মাটীয়ারীর জমিদার বংশ Q R NO স্থূলতার জন্য তিনি কখনও পাল্কীতে চড়িতে পারেন নাই। পাল্পীর ক্ষুদ্র দ্বারে তদেহ প্ৰবিষ্ট হইত না, তজজন্য প্ৰায় তিনি জল পথে যাতায়াত করিতেন । স্থল পথে। তদেহ বহনশীল অশ্বাভাবে অশ্বারোহণের ন্যায় গজারোহণে ভ্ৰমণ করিতেন । এইরূপে রামদাস বাবু পূৰ্ণ যৌবন প্ৰাপ্ত হইলে প্ৰদেশ মধ্যে “বীরাবতার” বলিয়া আখ্যা প্ৰাপ্ত হইতে লাগিলেন, বঙ্গের কুলবধূগণ পৰ্য্যন্ত তাহার বীরত্বের কাহিনী কহিতে লাগিলেন, বালকেরাও মৃন্মযু মুত্তি গড়িয়া তাহার নাম “রামদাস বাবু” রাখিল । কি গৌরবমযু জীবন ! এই সময়ে বীরাবতার রামদাস বাবুর পরিণয় কাৰ্য্য বীরাচারে সম্পন্ন হইয়াছিল । নদীয়া জেলার অগ্ৰদ্বীপ গ্রামে তাহার বিবাহ হয়৷ * আহিলাদের বিষয় অদ্যাপিও সেই বীর পত্নী জীবিত রহিয়াছেন : মাটীয়ারী অগ্রদ্বীপ দুই ক্রোশ ব্যবধান, ইহার মধ্যে কুত্ৰাপিও জনস্রোতের বিচ্ছেদ হয় নাই, অবিরত বিবাহ সমারোহ; বহুসংখ্যক বাহক - পৃষ্ঠে রাজত সুখাসনোপরি সজীভূত রামদাসকে সমাসীন দৃষ্টে দশক মাত্রেরই মনে অতুল আনন্দ-স্রোত প্ৰবাহিত হইয়াছিল । শুনা গিয়াছে, বিবাহন্তে বাসর গৃহে অসংখ্য কুলমহিলা সমীপে তিনি সময়োচিত বীরত্ব প্ৰদৰ্শন করিয়াছিলেন । ইহাতে রামদাস বাবুর খ্যাতির সীমা ছিল না । বিবাহের কয়েক বৎসর পরে রাম রাম ভূমিষ্ট হন, মধ্যে আরও কয়েকটি পুত্ৰ কাঠা জন্মিয়াছিল, কিন্তু তাহারা অকালেই কাল কবলে নিপতিত হয়, অবশেষে অনেক দৈব অনুষ্ঠানের পর কনিষ্ঠ পুল রাম কমল ভূমিষ্ঠ হইয়াছিলেন, এই কারণেই রাম কমলের অপর নাম ‘তিনুবাবু” । পত্নী সম্বন্ধেও বিবিধ বীরত্ব প্ৰকাশিত কিম্বদন্তী প্ৰচলিত আছে, সে সমস্ত বাহুল্য বোধে পরিত্যক্ত হইল। ফলতঃ রামদাস বাৰু S \S)