পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV বংশ-পরিচয় । পক্ষা পালন এবং গো-সেবায় ব্যয়িত হইত। তাহার বাহ্যিক এবং ভিতরকার জীবনে এতটুকুও পার্থক্য ছিল না । বস্তুতঃ এইরূপ প্রগাঢ় জ্ঞান এবং চরিত্র অর্থশালী লোকের ভিতর স্ক৮ি২ দৃষ্ট হয় , এমন কি মধ্যবিত্ত অবস্থার লোকের মধ্যে ও বিরল। অনেকে তাৰ্থ ব্যয় করিয়াই লোক সমাজে প্ৰতিষ্ঠা লাভ করেন। কিন্তু বিনা অর্থে মহারাজা কুমুদচন্দ্ৰ যে সম্মান পাইয়া গিয়াছেন তাক দেশনায়কদের ভাগে ও অল্পই ঘটে । ভারতের সনাতন ভাবধারা ও সাধনার তাহার প্রতি অসাধারণ আসক্তি ছিলে । কুমুদচন্দ্রের জীবি • কালের মধ্যে প্রাচীন রাজপ্রাসাদ ভূমিকম্পে পৃলিসাৎ হইয়া যায় । ইহাতে সুসঙ্গের প্রাচীন কাৰ্দ্ধিসমূদয় লুপ্তপ্রায় চইয়াছে । ভূমিকম্পে জগৎকৃষ্ণ ও তদীয় পুত্র নরেন্দ্ৰচন্দ্ৰ দেওয়াল ঢাপায় মৃত্যুমুখে পতিত হন। রাজবাড়ীর পরিবারবর্গকে ৭ দিন নৌকায় থাকিতে হয়। এবং প্ৰায় ছয়মাস কাল গোশালার বাডীতে আশ্রয় গ্ৰহণ করিতে হয় । অবশ্য ইহার পব সাধারণভাবে বাসোপযোগী গুই দি নিৰ্ম্মিত ভাইয়াছে । দেশবাসীর হৃদয়ে মহারাজা কুমুদচন্দ্ৰ কত উচ্চস্থান অধিকার করিয়াছিলেন তাঙ্ক তাহার মৃত্যুতে শোকপ্ৰকাশ করিয়া সকল সংবাদপত্র ও মাসিক পত্রে তাহার সম্বন্ধে যেভাবে এবং ভাষায় লিখিত হইয়াছে তাক পাঠ করিলে বুঝা যাইবে । বস্তুতঃ মহারাজা কুমুদচন্দ্ৰ ক্ষণজন্ম মহাপুরুষ ছিলেন। মহারাজ। তাহার ভ্রাত কুমার নীরদ চন্দ্রের হস্তেই সমস্ত বিষয় কাৰ্য্যের ভার সম্পূর্ণভাবে ন্যস্ত করিয়াছিলেন। তদীয় খুল্লতাত ভ্রাতা প্ৰমোদচন্দ্ৰ, নরেশচন্দ্র ও নীরদচন্দ্ৰ এই তিন জনে ষ্টেটের কার্ষ্য পরিচালনা করিতে থাকেন। প্ৰমোদচন্দ্র ও নীরদচন্দ্র উভয়েই অসাধারণ বিষয়বুদ্ধি সম্পন্ন সুচতুর ব্যক্তি । যদি কোনও বৃহত্তর কার্য্য তাহারা ব্যাপৃত থাকিতেন তাহা