পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৪৭

বারেন্দ্ৰশ্রেণী কায়স্থ নাগ বংশ ) Sድ © ¢” রূপে কুল প্ৰথা প্ৰচলন কালে বল্লালসেন এই স্থানেই ছিলেন এব: ইহাই তাহার শেষ রাজধানী । মহম্মদ বিণ বকতিয়ার খিলিজী যখন বাঙ্গালা দেশ জয় করিবার জন্য মগধ হইতে অগ্রসর হইতেছিলেন । তখন বল্লাল সেনের পুল লক্ষ্মণ সেন এইস্থানে ছিলেন এবং মুসলমানগণ নবদ্বীপে উপস্থিত হইলে বৃদ্ধ লক্ষ্মণসেন এই স্থান হইতেই খিড়কি। দ্বারা দিয়া পলায়ন করিয়াছিলেন । বল্লাল দিঘী বৰ্ত্তমান ভাগিরথী ও <ত্তমান জলঙ্গী বা খড়িয়া নদীর সংযোগ স্থানের অনতিদূরে অদ্যাপি বিদ্যমান আছে ; ভুঙ্গুরাম নন্দী এই স্থান হইতেই মরহুর চাকী ও নরহরি দাস সহ পূৰ্ব্বাভিমুখে যাইয়া শৈলকুপা গ্রাম প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন এই স্থানে রাজ প্ৰাসাদের ভগ্নাবশেষ স্তুপাকারে অদ্যাপি বৰ্ত্তমান আছে । বল্লালের দিঘী বা প্ৰকাণ্ড জলাশয় স্থানীয় ব্যক্তিগণ একটা বিস্তৃত নিম্ন ভূমি খণ্ডে আছে বলিয়া প্ৰদৰ্শন করেন। এখানে এখনও অনেক ভদ্রলোকের বাস আছে । রাজা কত্ত্বক এইরূপ বন্দী হওয়া হেতু ভূ গুরাম যারপরনাই লজিত হইলেন । তিনি মনে মনে প্ৰতিজ্ঞ। করিলেন যে, পৃথক একটা পাঠা ( পঙক্তি ) করিবেন এবং বল্লাল মৰ্য্যাদা লাইবেন না । অনন্তর নরহরি দাস ও কুটুম্ব প্রধান মুরারী বা মূরহ4 চাকীকে সসম্মানে আনয়ন করিলেন এবং তিনজন একত্রে নিজনে রাজার চরিত্র দোষ আলোচনা করিয়া পরামশ পূর্বক উপায় স্থির করিতে লাগিলেন । রাজধানীতে থাকিলে রাজা অনিষ্টকারী হইবেন। এবং রাজ আদেশে কৌলীন্য প্ৰাপ্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে থাকিলে ও তাহাদের সহিত আহার বিহার করিলে ধৰ্ম্ম ও জাতি রক্ষা হইবে না। এইরূপ বিবেচনা করিয়া রাজধানী ত্যাগ করিয়া অন্যদেশে যাওয়াই স্তির করিলেন এবং অনন্তর রাজধানী ত্যাগ করিয়া তিন জনেই পূৰ্ব্বাভিমুখে পলায়ন করিলেন ও বিবেচনা করিতে লাগিলেন যে দুরন্ত রাজার চর নিরস্তর ঘুড়িয়া বেড়ায়, তাহারা বল প্রয়োগ