পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রায় গোপালচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় বাহাদুর। ミレ* সহকারে পা ধুইয়া গামছা দিয়া মুছিয়া দিলাম। এ কার্য্যে অনেকক্ষণ সময় লাগিল। আর কষ্ট হওয়া দূরে থাকুক মনে বড়ই আনন্দ হইল । শেষে তাহদের প্রত্যেকের ললাটদেশ চন্দন দিয়া শোভিত করিখ । অর্ঘ্য প্ৰণাম করিলাম । শেষে তাহারা যখন অহার করিতে লাগিলেন আমি ও আমার সহধৰ্ম্মিণী আহার পরিবেশন করিতে লাগিলাম আহার শেষ হইবার পর তাহদের দক্ষিণ দিয়া প্ৰণাম করিলাম । অধ্যাপকগণ ও প্রবীণ ছাত্রটি খুব আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । পা ধুইয়। দিবার সময় তাহারা কি মন্ত্র উচ্চারণ করিতে লাগলেন তাহা জানি না। তবে সেই মন্ত্রে আমার শরীর কণ্টকিত হইয়াছিল। তাহার পূর্বদিবসে আমার পেটের অসুখ হইয়াছিল । তজ্জন্য উপবাসী ছিলাম । সেইদিন অপরাহ্নকাল পর্য্যন্ত উপবাসী থাকিয়া ব্ৰাহ্মণভোজন করাইলাম কি ক্ষু কোন কষ্ট বোধ হইল না । রাত্ৰিতে রক্ত আমাশয় দেখা দিল আত্মীয়বর্গ উপহাস করিয়া বলিলেন “ব্ৰাহ্মণভোজনের কেমন ফল পাইতেছেন ?” আমি বলিলাম “ভাগ্যে উহা করিয়াছিলাম-তাই আমি এ আমাশয়ে প্ৰাণ হারাইব না । আমার মনে হইতেছে ঐ যজ্ঞের ফলে ও সৎ ব্ৰাহ্মণের আশীৰ্ব্বাদে আমি সারিয়া যাইব ।” তাহাই ঘটিল, পীড়াটি একটু কঠিন হইয়াছিল। কিন্তু সহজেই সারিয়া উঠিলাম । এই ঘটনার পর হইতে আমি যখনই ব্ৰাহ্মণভোজন করাইয়াছি তখনই ব্ৰাহ্মণগণের পা স্বয়ং ধুইয়া দিয়া থাকি। নিমন্ত্রিত ব্যক্তিদের মধ্যে যাহার: আমার অনুগ্রহ প্ৰাৰ্থ তাহারা আমার কাৰ্য্যে বড়ই সঙ্কুচিত হন, কিন্তু আমি ছাড়ি নাই এবং তাহার ফলে আমি যে কত আনন্দ পাই তাহা প্ৰকাশ করিতে পারি না।” আজি পৰ্য্যন্ত প্ৰতি বৎসরে একবার এইভাবেই তিনি সাধুসেবা করিয়া থাকেন—তাহা তাহার বাৎসরিক জন্মতিথি উপলক্ষে । গোপালচন্দ্ৰ দুঃখের দুঃখী-তিনি আতুর ও দীন-দুঃখীর পরিবারে