পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AS-20 o R বংশ-পরিচয় । দ্বারকানাথকে চাকুরীর অন্বেষণে কলিকাতায় আসিতে হইল। কলিকাতা কমিসরি-জেনারেল কৰ্ণেল রামসের আফিসে কতকগুলি অল্প বেতনের কেরাণীর পদ খালি ছিল, দ্বারকানাথ সেই অফিসে যাইয়া দারোয়ানের নিকট আপন অভিপ্ৰায় জানাইবামাত্ৰ দারোয়ান অতি রুক্ষ্ম ও তাচ্ছিল্যের স্বরে বলিল, ‘হামারি হিঁয়া কৈই কাম খালি নেহি হ্যায়।” দারোয়ানের এই কথা শুনিয়া দ্বারকানাথ নিজেকে অত্যন্ত অবমানিত, লাঞ্ছিত ও অপদস্থ মনে করিলেন । তিনি প্ৰতিজ্ঞ।" করিলেন যে, আর কখনও কোন চাকুরীর জন্য কাহারও নিকট উমেদার’ করিবেন না । এই দিন হইতে দ্বারকানাথের জীবনের গতি পরিবৰ্ত্তিত হয়, তিনি স্বাধীনভাবে জীবিকার্জনের জন্য বদ্ধপরিকর হন । তিনি আইন শিখিবার জন্য প্রেসিডেন্সী কলেজে ভৰ্ত্তি হইলেন ! এখন তাহার অবস্থা অতি শোচনীয় হইয়া পড়ায় তিনি অতি কষ্টে দিনাতিপাত করিতেছিলেন। এই সময়ে কলিকাতার পুলিশ ম্যাজিষ্ট্রেট কিশোরীচঁাদ মিত্রের এজলাসে একটি কেরাণীর কাজ খালি হয় । কিশোরীচঁাদ দ্বারকানাথকে অনেক অনুরোধ করিয়া আনিয়া ১২:০২, কুড়িটাকা বেতনে তঁহাকে নিযুক্ত করেন । কিন্তু আইন পড়া দ্বারকানাথ বন্ধ করিলেন না। একমাস আটদিন মাত্র কাজ করিয়া তিনি হঠাৎ একদিন পুলিশ কোর্টের সাহেব ইণ্টারপ্ৰিটারের কথায় একটু অৰ মানিত বোধ করিয়া আদালতের মধ্যেই কলম সজোরে ফেলিয়া দিয়া তখনই আদালত হইতে বাহির হইয়া পড়িলেন । অতঃপর কিছুদিন স্বগৃহে থাকিয়া একাগ্ৰামনে আইন অধ্যয়ন করিয়া দ্বারকানাথ ১৮৫৬ সালের জানুয়ারী মাসে “কমিটি” পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্থান অধিকার as a পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া দ্বারকানাথ সদর দেওয়ানী আদালতে ওকালতী আরম্ভ করেন। নব্য উকিল হইলেও তিনি অল্প সষয়ের মধ্যে বিশেষ