পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

D 8 st-pfab রক্ষা করিতেছেন। রাজকুমার সেনশৰ্ম্ম স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠ সাধুপ্রকৃতি লোক । তিনি রেজিষ্টারী অপিসে চাকুরী করেন । হরকুমার কবিরাজী করেন এবং সুৰ্য্যকুমার সেন রেঙ্গুন কাষ্টম আপিসে উচ্চপদে নিযুক্ত আছেন । বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, তঁাহারা তিনজনই नि8नसान । মহামহিমান্বিত ৬/কালাচান্দের বংশধরের মধ্যে শ্ৰীযুক্ত সারদাচরণ সেন ও শ্ৰীযুক্ত গৌরচন্দ্ৰ সেন দুইজনেই কালাচন্দের বংশের গৌরব রক্ষা করিতেছেন। শ্ৰীযুক্ত সারদাচরণ সেন বর্তমানে আনোয়ারা গ্রামে ৰসতি করিতেছেন। ইহাই হইল সুবুদ্ধি রায়ের বংশপরিচয় । পুর্বে উল্লেখ করা হইয়াছে, মহাত্মা সত্যারাম সেনশৰ্ম্মার পুত্ৰ যদুনন্দন সেন, র্তাহার পুত্র সুবুদ্ধি রায় ও রঘুনাথ রায় । সুবুদ্ধি রায়ের বংশপরিচয় পূর্বে উল্লেখ করিয়াছি। রঘুনাথ রায়ের দুই পুত্ৰ ৬/জয়শ্ৰী মজুমদার ও নারায়ণ মজুমদার ; নবাবের সময়ে ধনরক্ষার কাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিলেন বলিয়া ইহারা পদগৌরবসূচক ‘মজুমদার’-উপাধি প্ৰাপ্ত হন । ৩/জয়শ্ৰী মজুমদারের পুত্ৰ, জয়কৃষ্ণ মজুমদার, তৎপুত্ৰ মাণিক রায় । চট্টগ্রামের বৈশ্বানরগোত্র সেন বংশের বিশেষত্ব এই যে, যখন যিনি যে কৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিতেন তৎকৰ্ম্মানুযায়ী গৌরবসুচক উপাধি প্ৰাপ্ত হইতেন এবং তৎ উপাধি তিনিই পদবীরূপে ধারণ করিতেন, তৎপরবর্তীগণ তাহা ব্যবহার করিতেন না । স্বজাতীয় গৌরবরক্ষার্থ অধস্তন বংশধরগণ আদিপুরুষের নাম ‘সেন” স্মৃতিচিহ্নরূপে ধারণ করিয়া আত্মপরিচয় দেওয়াকে অধিকতর গৌরবের কাৰ্য্য বলিয়া মনে করেন। যে সব পূর্ববর্তী মহাত্মা পদগৌরবসূচক অথবা ভূসম্পত্তির অধীশ্বরত্ব হেতু মজুমদার, রায় চৌধুরী প্রভৃতি উপাধি নবাবের সময় প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, ঠাহীদের বংশধরগণ তৎপদবী গ্ৰহণ করাকে অন্যায় মনে করিয়াছেন । তাই মাণিক রায়ের পাঁচ পুত্র, নিধিরাম, দয়ারাম, গোবিন্দরাম, অভিরাম