পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তালন্দ মৈত্র জমিদার-বংশ । Qa) এবং সম্পত্তি যাহা পাইয়াছিলেন তাহা প্ৰায় চতুগুণ বদ্ধিত করিয়াছেন। তিনি তালন্দ গ্রাম অতিশয় অস্বাস্থ্যকর হেতু রাজসাহী সহরে বসবাস করিয়া থাকেন। এখানে তিনি খুব সুন্দর বাড়ী তৈয়ারী করিয়াছেন। র্তাহার বাড়াই সহরের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বৃহৎ ও সুন্দর। কুঞ্জমোহন অতিশয় সজান ও আদর্শচরিত্র । তাহার মত নিষ্কলঙ্ক ও চ রািত্ৰবান ব্যক্তি বড়লোকদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায় না। তিনি নিজে তামাক বা পানীটী৷ পৰ্য্যন্ত খান না। সকলেই নিৰ্ম্মল চরিত্রের জন্য র্তাহাকে গভীর শ্রদ্ধা করিয়া থাকেন। কুঞ্জমোহন বড় পরদুঃখকাতর। তিনি গোপনে অনেক টাকা দান করিয়া থাকেন। তঁহার নিকট কেহ যাইয়া নিজের দুঃখ বা কষ্টের কথা জানাইলে তিনি যথাসাধ্য র্তাহাকে সাহায্য করিয়া থাকেন। কদাচ কাহাকেও বিমুখ করেন না। তিনি বিলাসপ্রিয়তা পছন্দ করেন না। কুঞ্জমোহনের দেবসেবা ও অতিথিসেবার প্রশংসা সকলেই করিয়া থাকেন। তিনি অধিকাংশ সময় ধৰ্ম্ম গ্ৰন্থ-পাঠে অতিবাহিত করিয়া থাকেন । তিনি সঙ্গরের যাবতীয় প্ৰতিষ্ঠানের সহিতই সংশ্লিষ্ট আছেন। তিনি রাজসাহী ধৰ্ম্ম-সভা ও বৈষ্ণব সভার সম্পাদক ও সহকারী সভাপতি ছিলেন। তিনি বৰ্ত্তমানে মিউনিসিপালিটীর কমিশনার ও সদর বেঞ্চের অনারারী ম্যাজিষ্ট্রেট। তিনি পূর্বে ডিষ্ট্রক্ট বোর্ডের মেম্বর ও ছিলেন। তিনি এখন সেণ্টাল জেলের ভিজিটর ও জেলের এডভাইসরী বোডের একমাত্ৰ বেসরকারী হিন্দু মেম্বর। গত ১৩২৯ সালে উত্তর-বঙ্গ জলপ্লাবনে এবং স্থানীয় জলপ্লাবনে কুঞ্জমোহন অনেক টাকা সাহায্য করিয়াছেন। গভর্ণমেণ্ট কুঞ্জমোহনের সদাশয়তা ও সচ্চরিত্রতার পরিচয় পাইয়া গত ১৩৩২ সালের জ্যৈষ্ঠ মাসে সম্রাটের জন্মদিন উপলক্ষে “রায় সাহেব৷” উপাধিতে সম্মানিত করিয়াছেন। তিনি অতিশয় প্ৰজারঞ্জক, প্ৰজার জলকষ্ট-নিবারণের জন্য স্বীয় জমিদারীর মধ্যে স্থানে স্থানে পুকুর খনন করাইয়া দিয়াছেন।