পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O9R ংশ-পরিচয় হয়। মিঃ জেমস এণ্ডারসন ইহা দেখিতে পান এবং সেই কৰ্ম্মচারীকে তিরস্কার করিয়া বলেন, “আমার আফিসে যে একজন আত্মসম্মানজ্ঞানসম্পন্ন লোক আছে, ইহা দেখিয়া আমি প্রীত হইয়াছি।” তদবধি মিঃ এণ্ডারসন বিহারীলাল সম্বন্ধে উচ্চধারণা পোষণ করিতে লাগিলেন এবং তঁহাকে একটি দায়িত্বমূলক পদ প্ৰদান করিলেন। বিহারীলাল এই পদে কাৰ্য্য করিবার সময় দেখিতে পাইলেন যে, তঁহার পূর্বে যে ব্যক্তি উক্ত পদে কাৰ্য্য করি ত, সে ষোল হাজার টাকা আত্মসাৎ করিয়াছে। এণ্ডাসনের নিকট এই কথা বলিলে এণ্ডাস নি তাহার প্ৰতি পরম প্রীত হইয় তাহাকে ষোলশত টাকা পুরস্কার দিতে চাহিলেন । কিন্তু বিহারীলাল এণ্ডাসিনকে ধন্যবাদ দিয়া বলিলেন “আমি যখন আমার কার্য্যকালের নিরূপিত সময়ের মধ্যেই এই প্ৰতারণা ধরিয়াছি এবং এজন্য যখন আমাকে নিরূপিত সময়ের অতিরিক্ত কাজ করিতে হয় নাই, তখন আমি এই পুরস্কার পাইবার অধিকারী নহি ।” মিঃ এণ্ডারসন বিহারীলালের এই স্বাৰ্থত্যাগ দেখিয়া বিস্মিত হইলেন এবং তঁহার বেতন ১৫০, ২২ টাকা করিয়া দিলেন । দুই বৎসর পরে বিহারীলালকে মাসিক ৫০০, ২২ টাকা বেতনে ও কমিশনে বিক্রয় বিভাগের ভার দিলেন । কিন্তু দুঃখের বিষয়, বার বৎসর এই পদে কাৰ্য্য করিবার পর ফাৰ্ম্মট উঠিয়া যায় । অতঃপর বিহারীলাল স্বাধীন ভাবে ব্যবসায় করিতে আরম্ভ করেন । শেষ বয়সে তিনি ইলিয়ট কোম্পানীর অংশীদার হইয়াছিলেন এবং জে, এইচ, ইলিয়ট এণ্ড কোম্পানীর এজেণ্ট হইয়াছিলেন। একুশ বৎসর বয়স হইতে তেত্রিশ বৎসর বয়স পৰ্য্যন্ত তিনি মাসিক দুই সহস্ৰ মুদ্রা অর্জন করিয়া নিজ পরিবারের ভরণ-পোষণোপযোগী অর্থ ব্যতীত সমস্তই দুঃখীর দুঃখমোচনে, ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্মে ও অন্যান্য সৎকৰ্ম্মে ব্যয় করিয়াছিলেন । তিনি প্ৰতিবেশী দুঃস্থ পরিবারবর্গের কষ্টে সহানুভূতিসম্পন্ন ও