পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় মোহিনীমোহন চক্ৰবৰ্ত্তী । ১২৪৫ সালের ২১এ আষাঢ় পুণ্যতিথিতে নদীয়া জেলার অন্তৰ্গত কুমারখালীর সংলগ্ন এলঙ্গি গ্রামে একটি খ্যাতিসম্পন্ন পবিত্ৰব্ৰাহ্মণবংশে স্বৰ্গীয় মোহিনীমোহন চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় জন্মগ্রহণ করেন। এতদঞ্চলের তৎকালীন স্বনামধন্য পুরুষ ৬/কৃষ্ণলাল চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় তঁহার পিতা ও ৬/নবকিশোর চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় তাহার পিতামহ এবং জেলা নদীয়ার অন্তৰ্গত মুড়াগাছা-নিবাসী ৬/রামানন্দ ভৌমিক মহাশয়ের দুহিতা স্বৰ্গীয়া ভগবতী দেবী তঁহার জননী ছিলেন । এই গরীয়সী জননীর এবং গরীয়ান পিতা ও পিতামহের আদৰ্শই মোহিনীমোহনের জীবনের সংগঠনী শক্তি । পিতামহ নবকিশোর ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর অধীন কুমারখালীর রেশম-কুঠির সুদক্ষ দেওয়ান এবং পিতা কৃষ্ণলাল তৎকালীন মৰ্য্যাদাসম্পন্ন বঙ্গীয় পুলিশবিভাগের লব্ধপ্ৰতিষ্ঠ দারোগ ছিলেন। প্ৰাচ্য আদর্শে অনুপ্ৰাণিত মোহিনীমোহনের মাতৃকুল ধৰ্ম্মনিষ্ঠা ও সৌজন্যে ব্ৰাহ্মণসমাজে নেতৃস্থানীয় ছিলেন। পাশ্চাত্য রীতি ও কৰ্ম্মধারার সহিত সংস্রবযুক্ত এবং সহজাত প্ৰাচ্য গুণান্বিত পিতা ও পিতামহ হইতে এবং প্ৰাচ্য আদর্শে নিয়ন্ত্রিত মাতৃকুল হইতে মোহিনীমোহন শিক্ষা ও সভ্যতার যে একটা সংস্কৃত ও মার্জিত অনুপ্রেরণা প্ৰাপ্ত হয়েন, তাহ প্ৰাচ্য ও পাশ্চাত্যের দোষ-বিচুত গুণাবলীরই অপূর্ব সমন্বয় এবং মোহিনীমোহনের ভবিষ্যৎ কৰ্ম্মজীবনে যে প্ৰবৃত্তি ও প্রকৃতি পরিস্ফুট হইয়াছিল তাহা তাহারই ফলস্বরূপ। মোহিনীমোহনের পাঁচ ভ্ৰাতা ও এক ভগিনী ছিলেন এবং মোহিনীমোহনই তাহদের সর্বজ্যেষ্ঠ। তাহার ২২ বৎসর বয়সে পিতৃবিয়োগ এবং ২৭ বৎসর বয়সে মাতৃবিয়োগ হয় এবং এই অপেক্ষাকৃত অল্প বয়সেই