পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীবাটীর চন্দ্ৰ-বংশ । স্বৰ্গীয় হরিহর চন্দ্ৰ বংশ-গরিমায়, ধনে, মানে, সদনুষ্ঠানে শ্ৰীবাটীর চন্দ্ৰবংশ বঙ্গদেশে সুবিখ্যাত । এরূপ বনিয়াদি ও সদাচারী বংশ গন্ধবণিক জাতির মধ্যে “বরল । ইতিহাস-প্ৰসিদ্ধ সপ্তগ্রাম এই বংশের আদি বাসস্থান । মহারাষ্ট্র-বিপ্লবের সময় যখন সপ্তগ্রাম আক্রান্ত হয়, তখন এই শাণ্ডিল্য গোত্রীয় চন্দ্রবংশের কোন মহাপুরুষ কুলদেবতা শ্ৰীশ্ৰীরঘুনাথজীউ ঠাকুর সঙ্গে করিয়া বৰ্দ্ধমান জেলার কৈথন গ্রামে বসবাস করেন । তথায় মুসলমান অত্যাচারে উৎপীড়িত হইয়া স্বৰ্গীয় শোভারাম চন্দ্র ১১৬০ ৰঙ্গাব্দে কুলদেবতা ও পুরোহিত-সমভিব্যাহারে কাটোয়া থানার শ্ৰীবাটী গ্রামে উঠিয়া আসিতে বাধ্য হন । লবণ-ব্যবসায়ে ঠহার। বড়লোক । উক্ত ব্যবসায় ইহাদের একচেটিয়া ছিল । বাহিরে সারি সারি উন্নত অট্টালিকার সৌন্দৰ্য্য, ভিতরে তাহার কারুকাৰ্য্য, সুগঠিত মন্দিরসমূহের ও পূজার দালানের শিল্পচাতুৰ্য্য, চতুস্পাশ্বের সমুন্নত তালবৃক্ষশ্রেণী ও বাধান ঘাট-সমন্বিত স্বচ্ছ সরোবরগুলি দেখিলে এই স্থানকে বাস্তবিক ‘শ্ৰী’র বাটী বলিয়া বুঝিতে হয়। এই বংশের মহাত্মারা জলকষ্ট-নিবারণ-কারণ বিভিন্ন গ্রামে ও জমিদারীর মধ্যে নুনাধিক ২• • দুই শত পুষ্করিণী খনন করিয়া গিয়াছেন । ইহাদের কীৰ্ত্তিকলাপ, নৈতিক শিক্ষা, দয়া-দক্ষিণ্যাদি গুণনিচয়ের কথা, বিদ্যোৎসাহিতা, বদান্ততা, কারবারের বিস্তৃতি, বৈশিষ্ট্য প্ৰভৃতির কথা, তুলট করিয়া সমস্ত ব্ৰাহ্মণ স্থাৎকরণ স্বর্ণ-রৌপ্যরথের ধুমধাম, প্রভৃতির কথা লিপিবদ্ধ করিলে একখানি বৃহৎ গ্ৰন্থ হইয়া পড়ে । কাঙ্গালী বিদায়ের সময় মোটা টাকার মূল তহবিল কোন উচ্চ কৰ্ম্মচাৰী