পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় নিমাইচন্দ্ৰ বসু $) { নিসিপাল কমিশনার, সেই সময়ই এই জমি সাধারণের হিতাৰ্থে তিনি মিউনিসিপালিটীকে দান করিয়াছিলেন। লর্ড রিপণকে বিদায়-অভিনন্দন প্ৰদান করিবার জন্য মিঃ ডব্লিউ সি বনার্জি ও আর ডি মেটা প্ৰভৃতিকে লইয়া যে কমিটি গঠিত হয়, নিমাই বাবু সেই কমিটির অন্যতম সম্পাদক ছিলেন। তিনি প্ৰভূত অর্থ উপাৰ্জন করিয়াছিলেন, কিন্তু অর্থের সদ্ব্যয় করিতে কোন দিন বিরত ছিলেন না । জীবনের পরিপূর্ণ আনন্দ উপভোগ ও আনন্দ বিতরণ র্তাহার জীবনের লক্ষ্য ছিল । তাহার বাগমারির বাগান এক সময়ে কলিকাতার সম্রান্ত ব্যক্তিগণের মিলনক্ষেত্র ছিল। এই সুন্দর সুসজ্জিত উদ্যান-বাটিকাতে প্রতি সপ্তাতে বহু বন্ধ-বান্ধব, আত্মীয় স্বজনের সমাগম হইত এবং পরিপূর্ণ আনন্দের প্রবাহ বহিয়া যাইত। পরে যখন তঁহার পুত্ৰগণ বড় হইলেন নিমাই বাবু তখন বাগমারি ত্যাগ করিয়া দারাজিলিং এ নূতন বাগমারি সৃষ্টি করিয়া প্রৌঢ় ও বাৰ্দ্ধক্যের কাল তথায় অতিবাহিত করিতেন । দাৰ্জিলিংয়ের বাগমারি তথাকার দ্রষ্টব্য স্থানের অন্যতম, এমন সুসজ্জিত রমা হৰ্ম্ম্য দাৰ্জিলিঙ্গে নাই বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। এই সুদৃশ্য বিশাল গৃহের অধিকারী নিমাইবাবু দাৰ্জিলিং-জীবনের একটি institutionএ পরিণত হইয়াছিলেন। তঁহার আতিথ্য মনোহর দারৰ্জিলিংকে আরও মনোহারী করিয়া রাখিয়াছিল। নিমাইবাবু ও দাৰ্জিলিং দুইটা অভিন্ন—এই ভাব নিমাইবাবুর বহু বন্ধুজনের কল্পনায় দৃঢ়বদ্ধ ছিল , এখন নিমাইবাবু নাই, তঁহাদের সে দাৰ্জিলিংও নাই, ইহাই মনে হইতেছে। র্তাহার অতিথি-বাৎসল্য এক অপূর্ব পদার্থ ছিল। উচ্চ-নীচনিৰ্বেশেষে সকলেই, কুচবিহারের মহারাজা হইতে আরম্ভ করিয়া একজন সামান্য অতিথি পৰ্য্যন্ত, তঁহার বাগমারিতে যথোচিত সমাদর