পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রায় বাহাদুর শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্রমোহন সিংহ কবিরঞ্জন vOId d তেমন অকাতরে ব্যয় করিতেন। বাড়ীতে দুর্গোৎসব-দোল-দীপান্বিকা, রটন্তী প্ৰভৃতি বার মাসে তের পাৰ্ব্বণ হইত। অতিথি-অভ্যাগতআত্মীয়-কুটুম্বগণের সমাগমে প্রত্যহ প্ৰতিবেলায় প্ৰায় একশত পাতা! পড়িত। তিনি ৬/গয়া-কাশী-শ্ৰীবৃন্দাবন শ্ৰীক্ষেত্ৰ প্ৰভৃতি তীর্থ পৰ্য্যটন করিয়াছিলেম ; তখন রেল হয় নাই, সুতরাং এই সকল তীর্থগমন বহু ক্লেশ ও ব্যয়সাধ্য ছিল । তাহার পিতা দুৰ্গাপ্ৰসাদের ৬/গঙ্গাপ্ৰাপি হইলে ঘটা করিয়া তাহার দানসাগর শ্ৰাদ্ধ করিয়াছিলেন। ১২৫৩ সনে ৬৪ বৎসর বয়সে। তঁহার স্বৰ্গ প্ৰাপ্তি হয় । তখন তাহার ভ্রাতাদের মধ্যে একমাত্র জগন্নাথ জীবিত ছিলেন, এবং তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ কালীচরণের বয়স ১ ০ বৎসর ‘মাত্ৰ । কালীচরণ নাবালক অবস্থায় পিতৃহীন হইয়া এক মহাবিপদে পড়িলেন । বাউষখালী গ্রামের পত্তনী-স্বত্ব পাইকপাড়ার জমিদার রাণী কাত্যায়ণীর নিকট হইতে ১২৪৫ সনে কাশীনাথ সিংহ ও রামজয় বসু এই নামে পাট্টা করা হইয়াছিল, ইহার মধ্যে সিংহাদিগের দুইতৃতীয়াংশ ও বাসুদিগের এক তৃতীয়াংশ ছিল, কিন্তু পাট্টাতে এই অংশ উল্লেখ করা ছিল না। শস্তুনাথের মৃত্যুর পর বসুগণ ইহার অদ্ধেক দাবি করিয়া বসিলেন, এবং ইহা লইয়া বাসুদিগের সহিত বহুবর্ষব্যাপী মামলা-মোকদমা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা হইল । অবশেষে ১২৭২ সনে উভয় পক্ষে রফানিস্পত্তি হয় এবং বসুগণ সিংহ দিগকে তঁহাদের ন্যায্য দুই তৃতীয়াংশ ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হন। কালীচরণ এইরূপে বহু কষ্টে পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষা করিলেন, কিন্তু দীর্ঘকালব্যাপী মামলা-মোকদ্দমায় বহু অর্থব্যয় করিয়া সম্পূর্ণ নিঃস্ব হইয়া পড়িলেন। এত কষ্টে পড়িয়াও তিনি বাৰ্ষিক দুর্গোৎসবাদি নিত্য নৈমিত্তিক ক্রিয়া-কলাপ বন্ধ করেন নাই । তখন তাহার ভাইদের মধ্যে মথুরানাথ ও রামচরণ জীবিত ছিলেন। আর তঁহার পিসতুত ভাই গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও ভাগিনের