পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় ܕ ܬ 8 এই মহাত্মার বহু কীৰ্ত্তি নানাস্থানে বিদ্যমান আছে । ইনি কাশীধামে ৬/পাতালেশ্বর মহাদেব ও শ্ৰীবৃন্দাবনে ৬/মদনমোহন ও ৬৮ রাধাকান্ত জীউ। নামক দুইটী বৃহৎ কুঞ্জ বা ঠাকুর-বাড়ীর প্রতিষ্ঠা করেন। মালদহে মহাপ্ৰভুর সেবার সুব্যবস্থা করিয়া নিজ ভবন ক্ষেত্রীপাড়ায় ৬/রাধাগোবিন্দ বিগ্ৰহ প্ৰতিষ্ঠিত করেন । দিনাজপুরের লুলাই বাড়ী, দিনাজপুর পল্লী ও সুন্দর বনে যে সকল বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা হয়। উহা তেঁহারই কীৰ্ত্তি। এতদ্ব্যতীত বহুতীর্থ স্থানে কত যে পান্থশালা ও জলাশয় প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন তাহার ইয়ত্ত নাই। ইহার পোষ্যপুত্ৰ রাজীবলোচন রায় অধিক দিন জমিদারী ভোগ করিতে পান নাই ! অপুত্ৰকাবস্থায় অকালে তঁহার লোকান্তর হইলে, তঁাহার বিধবা পত্নী শ্বশ্রী দেবতার পরামর্শে কমললোচন রায়কে দত্তক পুত্ররূপে গ্ৰহণ করেন। ইনি পরম ধাৰ্ম্মিক ও মহাপণ্ডিত ছিলেন। বৈষ্ণবস্মৃতি হরিভক্তিবিলাস অনুবাদ করিয়া ব্ৰত-দৰ্পণ নামক এক উপাদেয় পদ্যগ্ৰন্থ রচনা করেন । ইহা প্ৰাচীন বাঙ্গালায় লিখিত । উক্ত গ্ৰন্ত মুদ্রিত হইয়া, বৈষ্ণবমণ্ডলে বিনামূল্যে বিতরিত হইতেছে। ইনি গান ও কীৰ্ত্তন DBBDBDD DBD DDBDBDBBJBDBSS SDDBD SDBBBBD BBBB BB BD DDDLLDDD S তাহাদের সংখ্যা পাচ শতেরও উপর হইবে । এই কমললোচন রায়ের আমলেই তঁহার পৈতৃক জমিদারীর বহুল উন্নতি এবং বিস্তৃতি সাধিত হয় । তিনি বাঙ্গালার বিভিন্ন ছয়ট জেলায় বহু সম্পত্তি খরিদ করিয়া রায় সাহেব বংশকে উত্তর বঙ্গের একটা প্ৰতিপত্তিশালী প্ৰধান জমিদার বংশরূপে পরিণত করিয়া যান । ইনি বহু তীর্থ পৰ্য্যটন করিয়াছিলেন । বহু স্থলে তঁহার সদনুষ্ঠানের চিহ্ন এখনও বর্তমান আছে। এক নবদ্বীপেই তিনি লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করিয়াছিলেন । নবদ্বীপের বিখ্যাত “ছোট আখড়া” প্ৰধানতঃ ইহারই অর্থসাহায্যে প্ৰতিষ্ঠিত হইয়াছিল ।