পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so বংশ পরিচয় । “পশ্চিমে রাস্তার উপর একটী বাজার আছে, এই বাজারের প্রকাশ্য নাম চৌদ্দ রশীীর বাজার। বাজারটাতে দোকানপসার বেশ আছে, বাজারে দুগ্ধ মৎস্য তরিতরকারী ইত্যাদি যথেষ্ট পাওয়া যায়। ঐ বাজার বাইশরাশীর বাবুদিগের উভয় হিস্তার এজমালী বাজার। বাজারের উন্নতিকল্পে বাবুদিগের সমবেত চেষ্টা বেশ আছে। ঐ বাজারে বর্তমানে কাপড়ের দোকান, বেনে দোকান, মনোহারী দোকান, ময়রার দোকান প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন আবশ্যকীয় তৈজসের দোকান আছে । এই হাটে দেশীয় কারিকর ও তঁাতিদিগের তৈয়ারী বহু কাপড় আমদানী রপ্তানী হয় । এই বাজারটি থাকায় নিকটবৰ্ত্তী বহু গ্রামের বিশেষ সুবিধা হইয়াছে । বহুকাল পূর্বে ফরিদপুর জিলায় মকুটচর গ্রাম নিবাসী রঘুরাম সাহি। নামক এক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পূর্বে বরিশাল জিলার অন্তৰ্গত কালইয়া নামক স্থানে যাইয়ু এক সামান্য মুদীর দোকান করিয়া ব্যবসায় করিতেন । এই স্থানটী তখন প্ৰায়ই গড়াবাদী জঙ্গলাকীর্ণ “ছিল এবং মানুষের বসতিও বিরল ছিল । জঙ্গলে বাঘ, জলে কুম্ভীর, হাঙ্গর প্রভৃতি জন্তুর উপদ্রবে, ঐ দেশে লোক খুব কমই যাইত। তখন ঐ অঞ্চলে ষ্টীমার চলাচল আরম্ভ হয় নাই । আহাৰ্য্য বস্তু সংগ্ৰহ করিয়া এমন কি খাবার জল পৰ্য্যন্ত নৌকায় লইয়া নৌপথে ঐ অঞ্চলে এতদেশের লোক কেহ কেহ ব্যবসাবাণিজ্য করিতে যাইতেন । সাহাজী মহাশয়ও সেখানে গিয়া ব্যবসাবাণিজ্য করিতেন ; তিনি শুধু দোকানে বসিয়া জিনিষ পত্র বিক্রয় করিয়া ক্ষান্ত থাকিতেন না, কালইয়ার নিকটবৰ্ত্তী যে সকল হাট ছিল, তথায় হাটবারে গিয়া মুদী দোকান করিতেন। তখন ঐ দেশে ব্যবসায়ে বেশ উপাৰ্জন ছিল, ভগবান কৃপায় তাহার দিন দিন বেশ উন্নতি হইতে লাগিল । কথায় বলে “ৰাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ” এখানে তাহার বেশ প্ৰমাণ দেখা যায় ।