পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদ্দর শীর জমিদার বংশ । (NSJ) -ধনী, দোকানপসার খুব বাড়িয়াছে। জমিজমা যথেষ্ট হইয়াছে, এবং তিনি যেন একজন গন্যমান্য লোক হইয়া পড়িয়াছেন । এই দেখিতে দেখিতে উদ্ধবের নিদ্রা ভঙ্গ হইল। স্বপ্নটা দেখা অবধি যেন উদ্ধবের মনে আরও কত কথা উদয় হইতে লাগিল, উদ্ধাব তাহার কিছুই সিদ্ধান্ত করিতে পারিলেন না । রাত্ৰি প্ৰভাত হইতে উদ্ধবের পিতা প্ৰাতঃকৃত্য শেষ করিয়া তাগাদায় বাহির হইলেন এবং পুত্রকে বলিয়া গেলেন, “আজ একটু সকালেই • হাটে যাইতে হইবে, তুমি আমার জন্য তাড়াতাড়ি কিছু সিদ্ধপোড়া করিয়া খাবার প্রস্তুত করিও, আমি তাগাদ হইতে আসিয়া আহার করিয়া যেন সকালেই হাটে যাইতে পারি।” উদ্ধবচন্দ্ৰ পিতার আদেশ মত খাবার প্রস্তুত করিয়া রাখিলেন । পিতা তাগাদ হইতে আসিয়া মানান্তে আহারে বসিলেন এবং পুত্রকে বলিলেন, “তুমি কাল রাত্রে কিছু খাও নাই ; এখন দুটো ভাত খাইয়া পরে বেলা হইলে দুবেলার উপযুক্ত রান্না করিয়া খাইও ” উত্তরে উদ্ধাব সম্মতি জানাইয়া পিতার আচমনের জল, পান, তামাক ঠিক করিয়া দিয়া দোকান * পসার গুটিাইয়া ঠিক করিলেন । উদ্ধবের পিতা আচমনান্তে পান। তামাক খাইয়া নৌকাযোগে হাটে চলিয়া গেলেন । পিতা হাটে চলিয়া যাওয়ার পর উদ্ধব স্নান করিয়া শুভক্ষণে সন্ন্যাসীর নিকট চলিলেন। যাইবার সময় উদ্ধাব মনে মনে চিন্তা করিলেন “গুরুদেব আমাকে মন্ত্ৰ দিয়া আমার দেহ পবিত্ৰ করিবেন, আমি গুরু দক্ষিণ। কি দিব !” এই চিন্তা করিতে করিতে হঠাৎ স্মরণ হইল-“অনেক দিন হইল বাবা, আমাকে মিঠাই খাইবার জন্য একটী টাকা দিয়াছিলেন, সেই টাকাটা আমি গুরু দক্ষিণা দিব” । এই স্থির করিয়া বাক্স খুলিয়া একটা এনেকুড়ায় বাধা সেই টাকাটা লইয়া অতি আনন্দে সন্ন্যাসীর নিকট উপস্থিত হুইলেন । সন্ন্যাসী বলিলেন “আমি তোমাকে না দেখিয়া এতক্ষণ