পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদর শীর জমিদার বংশ । &ዓ) শমনের শাস্তির জন্য টাকাটা গ্ৰহণ করিলাম, বেলা ৩য় প্রহর অতীত প্ৰায়, স্বত্বর বাসায় যাও।” উদ্ধব সেই শক্তিসম্পন্ন গুরুদেবের অমৃত-সদৃশ উপদেশ বাক্যে আনন্দে পুর্ণ হইয়া ভক্তি সহকারে প্রণাম পূর্বক পদধূলি গ্ৰহণ করিয়া ঘরে ফিরিলেন। উদ্ধাব যে যোগভ্ৰষ্ট মহাত্মা, কামনাবশে নশ্বর মানব দেহ ধারণ -করিয়াছেন, তাহাতে আর সন্দেহ নাই ৷ সন্ন্যাসীর প্রদত্ত এই মহামন্ত্র উদ্ধবের তেজঃপূর্ণ দেহে প্ৰবেশ করিয়া যথাসময়ে শক্তির পরিচর शिांछिल । গুরুদেবের নিকট বিদায় লইয়া মন্ত্ৰটী স্মরণ করিতে করিতে উদ্ধব আনন্দিত মনে দোকানো পহুছিলেন । গুরু দেবের প্রদত্ত ফলাদি প্ৰসাদ -কতক তাহার পিতৃদেবের জন্য পৃথক ভাবে রাখিয়া ভক্তি সহকারে * অবশিষ্ট প্ৰসাদ গ্ৰহণ করিলেন । তৎপরে পিতার আদেশানুরূপ পাক করিতে আরম্ভ করিলেন | পাকশেষ করিয়া তাহা হইতে রাত্রির আহারোপযোগী অন্ন ব্যঞ্জন পৃথক ভাবে রাখিয়া নিজে আহার রলেন । এই ভাবে দিনটা কাটিয়া গেল । রজনী সমাগত প্ৰায়, উদ্ধব চিন্তা করিতে লাগিলেন, “গুরু দেবের আদেশমত আমার মন্ত্রগ্ৰহণ বিষয়ে পিতৃদেবকে বলা হইবে না ; তবে যে নিৰ্ম্মাল্য কবচে “পুরিয়া ধারণ করিতে বলিয়াছেন তাহা তো না জানাইয়া করা ফাইবে না, যে কোন ভাবেই হউক বাবা তাহ জানিতে পরিবেন, বিশেষ গোপনভাবে করিতে গেলে বাবার মনে খারাপ ধারণ আসিবে, সুতরাং এই কাৰ্য্যটী বাধ্য হইয়াই তাহাকে আমার জানান কৰ্ত্তব্য।” উদ্ধাব দোকানে সান্ধ্য প্ৰদীপ দিয়া ধূপ পোড়াইয়া একাকী --রাসিয়া নানারূপ চিন্তা করিতে লাগিলেন । রাত্ৰিতে উদ্ধবচন্দ্ৰ একাকী বলিয়া এই সব চিন্তা করিতেছেন। “এমন সময় তঁহার পিতাঠাকুর হাট হইতে আসিয়া ঘাটে নৌক৷