পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদর শীর জমিদার বংশ । &9Yn করিতে ক্ৰমে যাইয়া সেই বট মুলে পহুছিলেন। চতুর্দিক অনুসন্ধান ? করিলেন, কিন্তু সন্ন্যাসীর কোন সন্ধান পাইলেন না । বুঝিলেন, গুরুদেব নিশ্চই কোথায় চলিয়া গিয়াছেন । গুরুদেবকে না। দেখিয়া উদ্ধবের মনের উদ্বেগ শতগুণে বাড়িয়া উঠিল । তখন কি করিবেন স্থির করিতে অসমর্থ হইয়া সন্ন্যাসী ঠাকুর যে স্থানে বসিয়াছিলেন, সেই স্থানের নিকটে গিয়া নিরাশচিত্তে বসিয়া পড়িলেন । মনের উদ্বেগ সম্বরণ করিতে না পারিয়া উদ্ধাব একাকী কান্দিতে লাগিলেন, পরে শান্তিময়ীর ইচ্ছায় শান্ত হইয়া এদিক ওদিক চাহিবামাত্র একটী ত্রিখণ্ডী বিম্বপত্ৰ দেখিতে পাইলেন । তখন চিন্তা করিতে লাগিলেন, বটমূলে বিশ্বপত্র কেন ? বালোচিত চাঞ্চল্য বশতঃ বিহুপত্ৰটী তুলিতে গিয়া দেখেন যে র্তাহার দত্ত সেই গুরু দক্ষিণার, টাকাটি পড়িয়া রহিয়াছে, তাহার উপর একটী সিন্দর বিন্দুমাত্র। তখন অনেকক্ষণ সেখানে বসিয়া থাকিয়া নানারূপ চিন্তা করিয়া উক্ত বিম্বপত্ৰ এবং টাকাটী একত্রে কাপড়ের আঁচলে বাধিয়া ধীরে ধীরে দোকানো ফিরিলেন । দোকানে পহুছিলে তাহার পিতা জিজ্ঞাসা করিলেন “কেমন সন্ন্যাসী ঠাকুরকে দেখে এলে, তিনি কিছু বলিলেন কি ?” উদ্ধাব নিম্পন্দ নিস্তব্ধ-কোন উত্তর না দেওয়ায় পিতা বলিলেন, “তবে বুঝি তুমি, সন্ন্যাসীর নিকট যাও নাই। উত্তরে উদ্ধব বলিলেন, “বাবা সেই বটমূলে গিয়াছিলাম, কিন্তু সন্ন্যাসী ঠাকুরের সহিত সাক্ষাৎ হয় নাই । তিনি। কোথায় চলিয়া গিয়াছেন। বাবা ! কি আশ্চৰ্য্য তিনি যেখানে ধুনী জালাইয়া কয়েক দিন ছিলেন, সেখানে তঁহার ধুনীর ভস্মের চিহ্নটী পৰ্যন্ত নাই। কেবল মাত্র সিন্দরের ফোটা দেওয়া বিন্ধপত্রে ঢাকা একটা টাকা ছিল । তাহা আমি আনিয়াছি।” শুনিয়া উদ্ধবের পিতা। চমকিয়া উঠিলেন, “বল কি ! সন্ন্যাসী চলিয়া গিয়াছেন। তা বটে । এসব মহাপুরুষ সর্বদা এক স্থানে অধিক দিন থাকেন না । কি জন্য যে,