পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

અછ૨ शशं >iद्भि5 ।। এখানে তিনি আসিয়াছিলেন তাহা কে বলিবে ?” এইরূপ আলোচনা করিতে করিতে পুনরায় কাৰ্য্যে মনোনিবেশ করিলেন। আজি দূরের হাটে যাইতে হইবে, সকালেই পাক হইল। স্নান করিয়া সাহাজী মহাশয় আসিয়া খাইতে বসিলেন, উদ্ধবকে বলিলেন, “তুমিও ভাত লইয়া খাও ” উদ্ধব বলিলেন, আমি একটু পরে খাইব ।” সাহাজী আহারাদি সমাপন করিয়া নৌকাযোগে হাটে চলিয়া গেলেন। উদ্ধাব চন্দ্রের চিন্তায় দিবস অবসান হইল । তাহার ক্ষুধা তুষ্ণা বলিয়া কোনই উদ্বেগ নাই। রাত্ৰি হইলে তঁাহার পিতা হাট হইতে আসিলেন এবং দোকান পাশার সব উঠাইলেন । আজ উদ্ধব পিতার কোন সাহায্য করিলেন না । উদ্ধবের পিতা বড়ই সহিষ্ণু লোক ছিলেন, বিশেষ, অপত্যস্নেহ উদ্ধবের উপর কিছু বেশী ছিল। তিনি - কখন কাজ কৰ্ম্মের জন্য পুত্রকে পীড়াপীড়ি করিতেন না । দোকানে আসিয়া প্ৰয়োজনীয় কাৰ্য্য শেষ করিয়া বিশ্রাম্যান্তে রন্ধন করিতে গেলেন। কিন্তু বিস্মিত হইয়া দেখিলেন, যে পরিমাণ ভাত পুত্রের জন্য রাখিয়া গিয়াছিলেন, সে ভাত সেই ভাবেই আছে । তখন উদ্ধবকে জিজ্ঞাসা করিলেন “তুমি ভাত খাও নাই কেন” ? উদ্ধব বলিলেন, “আমার শরীর যেন কেমন খারাপ বোধ হইতেছে, আমি এ বেলাও খাইব না।” এই কথা শুনিয়া উদ্ধবের পিতা ব্যস্ত হইয়া বলিলেন “বাবা, তোমার কি অসুখ ?” উদ্ধব বলিলেন, “আমার যে কি অসুখ তাহ প্ৰকাশ করিতে • পারিতেছি না, শরীর যে কেমন হইয়াছে তাহ বলিবার শক্তি নাই ।” এই কথা শুনিবা মাত্র সাহাজী চিন্তিত হইলেন, দুপুর বেলার। যাহা ছিল তাহা কোন মতে গলাধঃকরণ করিয়া আচমন করতঃ আসিয়া উদ্ধবের গায়ে হাত দিয়া দেখিলেন, শরীর তেমন গরম নয়, অথচ চক্ষু লালবৰ্ণ, যেন কি এক প্রকার ভাব। এই ভাব দেখিয়া পিতা পুত্রে এক স্থানে শয়ন করিলেন । উদ্ধব ও পিতার পার্থে শয়ন করিলেন