পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদর শীর জমিদারবংশ । Vào ভুমিও একাগ্ৰচিত্তে তোমার গুরুদেবকে স্মরণ কর, তিনি অবশ্য তোমার প্রতি দয়া করিবেন।” তখন পিতার বাক্যে উদ্ধাব যেন । চৈতন্য লাভ করিয়া গুরুদেবকে স্মরণ করিতে লাগিলেন, সাহাজী : মহাশয়ও সন্ন্যাসীর নামে হত্যা দিয়া রহিলেন, রাত্ৰি প্ৰায় তিন প্ৰহর, এমন সময় উদ্ধবের একটু তন্দ্রার মত আসিয়াছে তখন উদ্ধাব দেখিলেন। যেন তাহার শিয়রে শয্যার পার্শ্বে বসিয়া সেই সন্ন্যাসী ঠাকুর বলিতেছেন, “বাবা উদ্ধাব তুমি মূল মন্ত্র হারাইয়া এইরূপ হইয়া পড়িয়াছ। বৎস, উদ্ধাব ! বাবা, তোমার কোন ভয় নাই । তোমার সেই স্বাস্ত্র সাবধানে স্মরণ করিতে থাকি ; মন্ত্র তোমার আর কখন ভুল । হইবে না।” উদ্ধব স্বপ্নে গুরুদেবকে ও তঁাহার দত্ত মন্ত্র পাইয়া, অতি , আনন্দে তাহাকে প্ৰণাম করিবার জন্য হঠাৎ মস্তক উত্তোলন করিয়াং “শুরুদেব ! গুরুদেব ! গুরুদেব !” বলিয়া ভয়ানক চীৎকার করিয়া উঠিলেন । অন্ধকার গৃহে সেই বিরাট মূৰ্ত্তি সন্ন্যাসী ঠাকুরকে শিয়রে, উপবিষ্ট বলিয়া স্বপ্ন দেখায় তাহার শরীর রোমাঞ্চিত হইল ; ইহা স্বপ্ন হইলেও তঁাহার কাৰ্য্য প্ৰত্যক্ষ-স্বরূপ, তিনি মন্ত্ৰটী স্মরণ করিতে করিতে সািভয়ে পিতাকে ডাকিলেন এবং কোন সাড়া না পাইয়া নিজেই ঘরে আলো জালিয়া দেখেন যে পিতা সংজ্ঞা-শূন্য অবস্থায় পড়িয়া, আছেন। তখন গায়ে হাত দিয়া ডাকিলেন “বাবা ! বাবা!” এমন সময় চমকিয়া সাহাজী মহাশয় জড়িত কণ্ঠে বলিলেন, “বাবা ? উদ্ধব!” উদ্ধব বলিলেন “উঠুন। গুরুদেব দয়া করিয়াছেন।” এই কথা শুনিয়া সাহাজী যেন আকাশের চাদ হাতে পাইলেন । তৎপরূে৷ কি ভাবে হারানিধি প্ৰাপ্ত হইলেন উদ্ধবের মুখে শুনিয়া সন্ন্যাসী ঠাকুরের উদ্দেশ্যে প্ৰণাম করিতে লাগিলেন। এই ভাবে কথোপকথনে রাত্রি শেষ হইয়া গেল। তখন পিতা-- পুত্ৰে একত্রে অতি সাবধানে গুরু-মন্ত্র জপ করিতে করিতে শষ্যা ত্যাগঞ্জ