পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদর শীর জমিদার বংশ । vo এবং তাহাদের কাৰ্য্য দ্বারায় ভাল লোকের সুবিধা ধ্বংস হইয়া ‘গোল । সাহাজী মহাশয়ের এলাকা মধ্যে এখন কোন প্ৰকার গোলযোগ নাই, সুশৃঙ্খলার সহিত আদায় ওয়াশীল কাৰ্য্য চলিতেছে। ভ্ৰাতৃগণ ও আমলাগণ র্তাহার ব্যবহারে সন্তুষ্টচিত্তে উৎসাহের সহিত কাজকৰ্ম্ম করিতেছে । দেশের বাড়ীতে পরিবারবর্গের মধ্যে কোনরূপ ঝগড়া বিবাদ অশান্তি নাই । ভগবৎকৃপায় উদ্ধব সাহাজী মহাশয় যখন এমত অবস্থায় সুখ শাস্তিতে কালাতিপাত করিতেছেন। তখন তাহার দৈবশক্তি পুৰ্ণ মাত্রায় বিকশিত হইয়াছিল। এই সময় হইতেই তিনি স্বনামধন্য পুরুষ বলিয়া, লোকে তঁহার নাম ধরিয়া কেহ। কোন কথা বলিতেন না ; শুধু “সাহাজী” শব্দ উচ্চারিত হইলেই তঁহাকে বুঝাইত। আজ পৰ্য্যন্ত “সাহাজীর গদী” বলিয়া লোকে কত মান্য করে । সাহাজী মহাশয় এতদ্দেশে একজন প্ৰাতঃস্মরণীয় ব্যক্তি বলিয়া এখনও সুপরিচিত । তঁহার বংশধরগণ “হরিয়া লুট” দিতে হইলে “সাহাজীর লুট” সঙ্গে না দিয়া হরির লুট দেন না। ভগবৎকৃপায় সাহাজী মহাশয় চারটি পুত্ৰ সন্তান লাভ করিয়াছেন, ১ম পুত্রের নাম চন্দ্ৰ সাগর, ২য় পুত্রের নাম জগন্নাথ, তৃতীয় পুত্রের নাম, হরেকৃষ্ণ, চতুর্থ কৃষ্ণপ্ৰসাদ । তঁহার দ্বিতীয় ভ্রাতা। রূপ নারায়ণ সাহার এক মাত্র পুত্র ছিল, তঁহার নাম মুচিরাম । সাহাজী মহাশয় ভ্রাতুষ্পপুত্র ও নিজের ছেলেদের শিক্ষার জন্য যত্নের কোন ক্ৰটী করেন নাই । তৎপর যথা যোগ্য বয়সে। তঁহাদের বিবাহদি দিয়া বিশেষ আমোদ আহলাদ করিয়াছেন । এই সময়ে সাহাজী মহাশয়ের মাতৃদেবী বৃদ্ধাবস্থায় স্থবির দেহ লইয়া অশক্তাবস্থায় জীবিত ছিলেন মাত্ৰ হঠাৎ একদিন বাৰ্দ্ধক্য জনিত পীড়ায় পীড়িত হইয়া পরলোক গমন করিলেন । তিনি পুত্র ও ভ্রাতুষ্পপুত্ৰগণকে কাজ কৰ্ম্ম শিক্ষা দিবার