পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুগলী প্ৰতাপপুরের বসুবংশ q q বৰ্দ্ধমান জেলায় কাগজে কলমে বদলী হন। কিন্তু ঐ কাৰ্য্যে যোগদান না করিয়া ১১।১১২৭ তাং হইতে ১৭১/০ মাসিক পেনসনে অবসর গ্ৰহণ করেন । পুলিশ-বিভাগে সুখ্যাতির সহিত কাৰ্য্য করার জন্য ইনি কতকগুলি অর্থ পুরস্কার ব্যতীত গভৰ্ণমেণ্ট হইতে একবার একটা সোণার ‘হাত-ঘড়ি ও একবার দুইটী রূপার পকেট-ঘড়ি ও চেন পাইয়াছিলেন। বঙ্গের মাননীয় গভর্ণর নিজ হস্তে ঐ ঘড়ি দুইটী প্ৰদান করিয়া তাহাকে সম্মানিত করেন । সি-আই-ডি বিভাগে প্ৰায় দ্বাদশ বর্ষ কাল নিযুক্ত থাকা-কালে উহাকে বাঙ্গালার প্রায় সকল জেলাতেই কৰ্ম্মসুত্ৰে যাইতে হইয়াছিল ; ঐ সকল স্থানে এবং তৎপূর্বে তিনি যে সকল থানা বা মহকুমার ভারপ্রাপ্ত থাকিয়া কাৰ্য্য করিয়াছিলেন, তঁহার সদ্ব্যবহার জন্য সকল স্থানেই তিনি জনসাধারণের এবং নিম্নতন কৰ্ম্মচারিগণের প্রিয় এবং বিশ্বাসভাজন হইয়াছিলেন । এজন্য তঁহাদের আন্তরিক সাহায্য পাওয়ায় তাহার কাৰ্য্যেরও বিশেষ সুবিধা হইত। ইহার পত্নী মনোরমার জন্ম ১৮ই অক্টোবর ১৮৮১), ( বাং ৩রা কাৰ্ত্তিক ১২৮৮ সাল ), মঙ্গলবার, ৪টা ৩মিঃ সময়, মাতামহ হুগলি কঁাচশিয়াল সাকিনে রায়সাহেব মহেন্দ্রলাল বসুর বাটীতে । উক্ত রায়সাহেব স্থানীয় জমিদার, অনারারি ম্যাজিষ্ট্রেট ও মিউনিসিপ্যাল কমিশনার ছিলেন। তিনি কঁচশিয়ালার সন্ত্রান্ত ও পুরাতন বসু-বংশীয় । মহামান্য হাইকোর্টের ভূতপূর্ব বিচারপতি স্বনামধন্য ৬৮ সারদাচরণ মিত্রের সহােদরা কৃষ্ণকামিনীকে মহেন্দ্ৰবাবু বিবাহ করেন। এই পরম ধাৰ্ম্মিক বহুগুণসম্পন্ন মহিলা মনোরমার মাতামহী ছিলেন এবং অল্প বয়সে মাতৃহীন হওয়ায় মনোরম তাহারই নিকটে অতি যত্নে প্ৰতিপালিত হইয়া সুশিক্ষা প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। মনোরমার গর্ভে অবিনাশবাবুর ৩ পুত্র, ১০ কন্যা জন্মে। ইং ১৮|৬|১৯২৩ তাং শেষ কন্যাসন্তানের জন্মগ্রহণের পর হইতে মনোরমা নানাপ্রকার পীড়ায় কষ্ট পাইতে থাকেন এবং ১৯২৮