পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

abア ংশ-পরিচয় পরিবারের বহু ব্ৰতাদিও ছিল । মাতৃ-শ্রাদ্ধে এত টাকা ইহারা ব্যয় করিয়াছিলেন যে, বহুকাল শান্তিপুরে এরূপ সমারোহের সহিত আদ্য-শ্ৰাদ্ধ হয় নাই। নিকট প্রতিবাসীদের জন্য পূজার পূর্বে ইহারা নৌকায় বিস্তর জুতা আনাইতেন, নিজের নিজের পায়ের মত জুতা হৃষ্টচিত্তে প্ৰতিবাসীরা বাছিয়া লইতেন, যেন এক বৃহৎ পরিবার। শান্তিপুরে মিউনিসিপ্যালিটি হইলে রামযাদু কমিশনার ও অবৈতনিক ম্যাজিষ্ট্রেট হন। পরে কনিষ্ঠ শ্ৰীরামচন্দ্ৰ এই দুইটি কাজ ছাড়া বন্ধু-সভার কোষাধ্যক্ষ, করদাতাগণের সভার কোষাধ্যক্ষ, রামনগর বঙ্গবিদ্যালয়ের সম্পাদক ও দাতব্য-চিকিৎসালয়ের কাৰ্য্যকারী সমিতির সভ্য হন । অনেক জনহিতকর অনুষ্ঠানের সহিত বিশেষভাবে সংশ্লিষ্ট হইয়া প্ৰত্যেকটির উন্নতির জন্য তিনি বিশেষ পরিশ্রম করিতেন, কারণ তিনি নিজে ছিলেন প্ৰকৃত কৰ্ম্মী। র্তাহার মৃত্যুর পরে দাতব্য-চিকিৎসাICS. Female Ward stats nitritics Sreeram Chandra Ganguly Female Ward হইয়াছে ও ঊর্তাহার একটি প্ৰস্তরফলক ঐ গৃহে আছে। তঁহার বসতবাটী “শ্ৰীরামধামের” সংলগ্ন রাস্তাটির নাম “শ্ৰীরামচন্দ্ৰ গাঙ্গুলী লেন” হইয়াছে। এই নামকরণ-উপলক্ষে একজন প্ৰধান কমিশনার লিখিয়াছিলেন, ‘প্ৰাতঃস্মরণীয় শ্ৰীরামচন্দ্ৰ গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় শান্তিপুরের পিতৃস্থানীয়। শান্তিপুরের খ্যাতি তঁহাদের পূতপদরজঃস্পর্শেই অর্জিত হইয়াছে।” নিজের ক্ষতি স্বীকার করিয়াও তিনি আজীবন পরোপকার করিতেন ও সকলকে স্নেহযত্ন করিতেন। এইজন্য র্তাহার মৃত্যুতে ছোট বড়, স্ত্রী পুরুষ অনেক নিঃসম্পৰ্কীয় লোকের চোখের জল পড়িয়াছিল। ব্যবসা-ক্ষেত্রে তাহার সাধুতার প্রশংসা দেশপূজ্য স্যার গুরুদাস যেখানে সেখানে শতমুখে করিতেন। কৃষ্ণনগরের শ্রেষ্ঠ উকীল মৃত্যুঞ্জয়বাবু মৃত্যুর পূর্বে জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ উকীল সারদাপ্ৰসাদকে বলেন, “বৈষয়িক ব্যাপারে শান্তিপুরের