পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিপুরের প্রসিদ্ধ গঙ্গোপাধ্যায়-বংশ ֆo Գ এবং ইংরেজি সম্বন্ধে কোন সন্দেহ হইলে কখন কখন তঁহাকে জিজ্ঞাসা করিতেন । প্ৰকাশ্য সভায় একদিন প্ৰিন্সিপ্যাল সাহেব তঁহার প্রথমবার fTs:|-Tscal TófeÍCT “Great man' <fes:fs(E|e) | “l say great advisedly for it seems to me in whatever capacity we consider him he is entitled to that designation.' “র্তাহার উদার সরল মন, পবিত্র সুসংযত চরিত্র, সুমার্জিত রুচি, ছাত্রের প্রতি আকৃত্ৰিম স্নেহ, কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠা, আত্মীয়-স্বজন ও আশ্ৰিতের দুঃখ-মোচনেচ্ছা, মানবতার আহবানে উদ্দীপ্ত প্ৰাণ, এক কথায় তাহার বিরাট ব্যক্তিত্ব মনুষ্যমাত্রকেই মুগ্ধ ও অভিভূত না করিয়া পারে না” । দুর্ভিক্ষ, জলপ্লাবন প্ৰভৃতি নৈসৰ্গিক বিপদ দেখা দিলে তিনি আৰ্ত্তাত্ৰাণে আত্মনিয়োগ করিতেন । এই জন্য উড়িষ্যার নেতা স্বৰ্গগত সুদামচরণ নায়ক রায় বাহাদুর বলিয়াছিলেন, “গোপালবাবুর নিকট সমগ্ৰ উড়িষ্যা কৃতজ্ঞ”। সকল দিক দিয়া আমাদের জাতীয় জীবনে দুর্গাপূজার আবশ্যকতা সম্যক উপলব্ধি করিয়া তিনি উড়িষ্যাতে কলেজ-ছাত্রদের মধ্যে প্রথমে দুৰ্গাপূজা প্ৰবৰ্ত্তন করেন সুভাষচন্দ্ৰকে দক্ষিণ হস্ত করিয়া। পরে সুভাষচন্দ্ৰ ভারতবর্ষের বাহিরে সুদূর মান্দালে জেলে এই মহদানুষ্ঠান সুসম্পন্ন করেন। শিক্ষাবিভাগের এক সহকৰ্ম্মী বন্ধু গোপালবাবুর সম্বন্ধে লিখিয়াছেন, “একদিকে তঁর সহজ বন্ধুপ্রীতি, দয়া-দাক্ষিণ্য, স্নেহপ্রবণ হৃদয়, সহানুভূতি-পূর্ণ প্ৰাণ, অন্য দিকে তাহার ন্যায়নিষ্ঠা, নির্ভীক সত্যবাদিত তাহাকে মহামানবতার উচ্চ পদবী প্ৰদান করিয়াছে।” যৌথ-পরিবারে গোপালবাবুর তুলনা সমাজে বিরল। তিনি সকলের সেবক । পিতাকে ও পরে তিনি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাকে নিজ বাসা-খরচের উদ্ধৃত্তি সমস্ত আয় দিতেন, নিজের জন্য বা স্ত্রী-পুত্রের জন্য কপৰ্দকও রাখিতেন না । পিতামাতাকে দেবতা ও সন্তানগণকে বালগোপাল ভাবিয়া সেবা করেন । আত্মীয়স্বজনকে সাহায্য করা মানুষের প্রধান