পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিপুরের প্রসিদ্ধ গঙ্গোপাধ্যায়-বংশ ON আস্থা এত বেশী যে, স্বৰ্গীয় জানকীনাথ বসু খুব অসুস্থ হইয়া ১৯২৭ সালের পূজার ছুটীতে ইহার সহিত কলিকাতা আসিবেন বলিয়া কলেজ বন্ধ হওয়া পৰ্য্যন্ত কটকে অপেক্ষা করিয়া রেলগাড়ীতে বলিয়াছিলেন, “আপনার সঙ্গে আসিলাম কারণ ছেলেরা সঙ্গে নাই, যদি কিছু হয় আপনি আছেন”। জনৈক শ্ৰদ্ধেয় পণ্ডিত DD BBD DBBu S DBDBBB DB DDD SD DBBD BDBD দুটির হাত ইহার ও জানকীবাবুর হাতে দিয়া কতকটা নিশ্চিন্ত হইয়াছিলেন ( পণ্ডিতমহাশয় এখনও বর্তমান ও তঁহার কন্যা দুইটি সৎপাত্ৰস্থ )। মৃত্যুশয্যায় প্রতিবাসী ও আত্মীয়েরা স্বীয় স্ত্রীপুত্ৰকন্যাদের অভিভাবকস্বরূপ ইহার নাম করিয়াছেন। আত্মীয়স্বজনেরা ইহার নিকট টাকা-কড়ি, গহনাপত্র রাখিয়া নিশ্চিন্ত হন। একবার কটকের উভয় দিকের নদী ( মহানদী ও কাটজোড়ি ) এক হইয়া যাইবে এরূপ ঘোষণা অধিক রাত্রে কর্তৃপক্ষ করিলে গোপালবাবু প্ৰথমে আমানতকারীদের কথা ভাবিলেন। পরদিন প্ৰত্যুষে আমানতকারীদের প্ৰত্যেককে তঁহাদের টাকা ও গহনা কোন ব্যাঙ্কে আছে ও প্ৰমাণস্বরূপ তাহার সোদর প্রতিম ধৰ্ম্মপ্ৰাণ বন্ধু সংস্কৃত-কলেজিয়েট স্কুলের তদানীন্তন হেডমাষ্টার শ্ৰীযুক্ত বেণীমাধব দাশ মহাশয়কে আনুপূর্বিক বৃত্তান্ত লিখিয়া ডাকগাড়ী রওনা হইলে নিশ্চিন্ত হইলেন। স্যার গুরুদাস ইহাকে এত স্নেহ করিতেন যে, অন্যাপি তাহার কাগজ-পত্রের সঙ্গে গোপালবাবুর ২১ খানি চিঠি যত্বে রক্ষিত আছে। কটকের আরবী ও পার্শীর অধ্যাপক লতিফ সাহেব একরাত্রে অসুস্থ হইয়া তাহার টাকার ভার লইবার জন্য ইহাকে ডাকাইয়া পাঠান ; কারণ র্তাহার কাছে তখন নগদ ৮|১০ হাজার টাকা ছিল। ইনি জীবিতাবস্থায় গোপালবাবুকে বার বার অনুরোধ করিয়াছিলেন, শেষাবস্থায় র্তাহাকে ও তাহার জীবনান্তে র্তাহার নাবালক পুত্ৰকে দেখিতে। ১৯৩১ সালের গ্রীষ্মের ছুটীতে মৃত্যুশয্যায় বিকারে ইনি অনবরত গোপালবাবুর