পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR 9 বংশ-পরিচয় ভাষা শিক্ষা করিয়াছিলেন । বাল্যকাল হইতেই তাহার বুদ্ধি অসাধারণ রূপ তীক্ষ ছিল । তিনি যথাকালে পৈত্রিক সম্পত্তি হস্তে লইয়াছিলেন । তিনি শ্রমশীল, অধ্যবসায়ী এবং অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন। তিনিই পৈত্রিক জমিদারীর প্রভূত বৃদ্ধিসাপন করিয়াছিলেন এবং তাহার ফলেই সেই জমিদারী হরিপুর বড়তরফ এষ্টেট নামে পরিচিত হইয়াছে । তিনি বিচক্ষণ ও ধীরবুদ্ধি এবং গম্ভীর-প্রকৃতি ছিলেন । এইজন্য জনসাধারণ ও প্ৰজাবৃন্দ তীহাকে ভয় ও ভক্তি করিত ! তাহার প্রভাব-প্ৰতিপত্তি ও ক্ষমতা এরূপ ছিল যে, লোকে বলিত--তিনি বাঘে গরুকে একঘাটে, ऊळ २iद्धांत्रेंडन् | তিনি অত্যন্ত ধাৰ্ম্মিক ছিলেন এবং গভীর নিষ্ঠার সহিত ধৰ্ম্মাচার পালন করিতেন । তিনি প্ৰত্যঙ্গ ব্ৰাহ্মমুহূৰ্ত্তে গাত্ৰোখান করিয়া লক্ষবার নাম জপ করিতেন ! নাম জপ করিবার সময়ে তিনি এরূপ তন্ময় হইয়া পড়িতেন যে, বাহ্যজ্ঞান লোপ পাইত ; একবার তিনি নামজপে রত ছিলেন, এমন সময়ে এক বিষধর সর্প তাহার নিকট দিয়া চলিয়া যায় ইহাতে সকলেই অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত হইয়া পড়েন ; কিন্তু তিনি নাম-জপে এরূপ মগ্ন ছিলেন যে, সেদিকে তাহার ক্ৰক্ষেপই হয় নাই। আর একবার তাহার একমাত্র পুত্ৰ যোগেন্দ্রনারায়ণ রায়চৌধুরী বাল্যকালে কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হন । “আত্মীয়স্বজনগণ ইহাতে সবিশেষ চিন্তিত হইয়া পড়িয়াছিলেন । তাহারা রোগীর শয্যাপার্থে উপবিষ্ট ছিলেন। কিন্তু উৎকণ্ঠ দমন করিয়া রাঘবেন্দ্রনারায়ণ নামজপে মগ্ন ছিলেন । ইহাতে কেহ কেত তাহাকে অনুযোগ করিয়াছিলেন। ইহার উত্তরে তিনি ধীর শান্তভাবে বলেন,-“যিনি সকলকে দেখিতেছেন তিনিই বালককে দেখিবেন।” এই কথা বলিয়া নাম-জাপের মালাটী তিনি বালকের মস্তকে স্পর্শ করাইয়া দেন। ইহার পর হইতে কোন অদৃশ্য শক্তিবলে বালক ক্ৰমশঃ আরোগ্যের পথে অগ্রসর হইতে থাকে।