পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিপুর বড়তরফ রায়চৌধুরী-বংশ Y SDS) ব্ৰতের ব্যবস্থা আছে এবং সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্য আহাৰ্য্য ও সাহায্যদানেরও বিধান আছে। হিন্দুর দৈনিক পঞ্চযজ্ঞের যে ব্যবস্থা আছে তাহার মধ্যে অধিকাংশই তিনি নিষ্ঠার সহিত পালন করিয়া গিয়াছেন । যোগেন্দ্ৰনারায়ণের তিন পুত্র ও এক কন্যা ছিল ; তন্মধ্যে মধ্যম পুত্ৰ কুমার কৃষ্ণেন্দ্রনারায়ণ ও কন্যা রাধারাণী অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। মৃত্যুকালে রুষ্ণেন্দ্রনারায়ণের বয়স মাত্র ১৭ বৎসর হইয়াছিল এবং অল্পদিন পূর্বে রাধারাণীর তিনি মহাসমারোহে বিবাহ দিয়াছিলেন । কিছুদিন পরে রাধারাণীর স্বামীরও মৃত্যু হয় । ইহাতে তিনি সপরিবারে এরূপ শোক-জ্বালায় জর্জরিত হইয়া পড়েন যে, সকলেরই তীর্থদর্শনের ইচ্ছা হয় ; কারণ তীর্থদর্শনে শোকতাপ কতকটা প্রশমিত হইয়া থাকে। তীর্থদর্শনের উদ্যোগ-আয়োজন আরম্ভ হয় এবং তিনি পরিবারবৰ্গ এবং গ্রামস্থ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, কৰ্ম্মচারী, দাস-দাসী, পেয়াদপাইক ইত্যাদিতে প্ৰায় ৬০৭০ জন সাহা গয়া, কাশী, বিন্ধ্যাচল, প্ৰয়াগ বৃন্দাবন, আগ্ৰা, অযোধ্যা, বেলবল, পঞ্চক্রোশী, রাধাকুণ্ডু, গিরি গোবৰ্দ্ধন, মথুরা, আজমীর, পুষ্কর, জয়পুর, দিল্লী, হস্তিনাপুর, দ্বৈপায়ন হ্রদ, কুরুক্ষেত্র, হরিদ্বার, হৃষীকেশ, লছমনবোলা প্ৰভৃতি তীর্থস্থান পরিদর্শন করিয়া প্ৰায় ছয় মাস পরে স্বগৃহে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করেন ও জমিদারীর কাৰ্য্যে মনোনিবেশ করেন । অধিকদিন জননীকে ছাড়িয়া তিনি যেমন কোথাও থাকিতে পারিতেন না তেমনই জন্মভূমি ছাড়িয়াও তিনি বেশী কোথাও তিষ্ঠিতে পারিতেন না, তঁাহার প্রাণ হঁপাইয়া উঠিত । শেষে অতষ্ঠ হইয়া, ব্যাকুলহািদয়ে জন্মভূমির স্নেহ-ক্ৰোড়ে (qqt5 \s তীর্থদর্শন अन्ड्र१ि-वैौड ছুটিয়া আসিতেন । টুংলণ্ডের সহিত যখন জাৰ্ম্মণীর ভীষণ যুদ্ধ বাধিয়াছিল। সেই সময়ে