পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিমুলিয়ার সেন-বিংশ Syd অৰ্চনা, তুলসীমালা জপ না করিয়া জলস্পর্শ করেন না । ভাদ্রসংক্রান্তিতে প্ৰজাদের ইনি মা মনসা দেবীর অন্নপ্ৰসাদ বিতরণ করেন। শারদীয়া ভগবতীর সোনার মুকুট ইহারই ইচ্ছায় নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ইনি কঠোর সৰ্ব্বজয়া-ব্ৰত উদযাপন করিয়াছেন । ইহার আচার-বিচার সত্যই শিখিবার বস্তু। ইনি বয়ন-শিল্পে সিদ্ধহস্ত। ইহার হাতে পশমের বোন কৃষ্ণলীলার সুন্দর আলেখ্য, শ্ৰীশ্ৰীকালীর অপূৰ্ব্ব মূৰ্ত্তি এবং পতির প্রতিমূৰ্ত্তি দেখিলে তৈলচিত্র বলিয়া ভ্ৰম হয়। অসংখ্য দাসদাসী সত্ত্বেও সংসারের সমস্ত কাৰ্য্য নিজ তত্ত্বাবধানে করিয়া থাকেন। আটলবাবুর মত অসীম ক্ষমতা লইয়া নানাগুণে ভূষিতা তাহার স্ত্রী যেন আদর্শ গৃহিণী হইবার জন্যই সেনা-বংশে আসিয়াছেন। এই নারীর মাতুলালয় শোভাবাজার রাজবাটী। হরেন্দ্ৰীকৃষ্ণ দেব। ইহার মাতামহ । একমাত্র বংশধর শ্ৰীমান আচলকুমারকে রাখিয়া ৪ঠা নভেম্বর ১৯২৭ খৃষ্টাব্দে ৫৭ বৎসর বয়সে শ্ৰীশ্ৰীe/ জগদ্ধাত্রীমাতার বিজয়ার দিনে আটলবাবু স্বৰ্গারোহণ করেন। স্থানীয় দোকানপাট তাহার স্মরণার্থ পরবর্তী ৫ই ७ाद्वि८९ दक्ष छिवा । শ্ৰীযুক্ত অচলকুমার বঙ্গাব্দ ১৩০৬ সালের —ভাদ্র মাসে শনিবার বামনদ্বাদশীর দিনে শ্ৰীমান আচলের জন্ম হয়। সেনা-বংশের সমস্ত গুণই ইহাতে বিদ্যমান। জ্যেষ্ঠতাতের প্রাণের স্পন্দন, পিতার নয়নের আলো ‘বাবু মা’র (জ্যেঠাই মার) স্নেহের পুতুল, গৰ্ভধারিণী জননীর জীবনের রত্ন, আত্মীয়স্বজনের হরিদাস’, বন্ধুবান্ধবের “আচল দা” কি যে সকলের ভালবাসার পাত্র, বংশের কত যে মূল্যবান মণি তাহ ইনি নিজে না জানিলেও সকলে প্ৰাণে প্ৰাণে অনুভব করেন। -