পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sዓ8 st-sfs হাইকোর্টের প্রসিদ্ধ এটণী বাবু শ্যামলধন দত্তের আফিসে কৰ্ম্ম আরম্ভ করেন । এই কৰ্ম্ম করিতে করিতে তিনি পি-এল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এবং ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দ হইতে কলিকাতার ছোট আদালতে ওকালতি আরম্ভ করেন । এই আদালতে পরলোকগীত প্ৰসিদ্ধ উকীল মিঃ এফ-আর সুরিটার তিনি সমসাময়িক ছিলেন। উকীল-হিসাবে শরৎচন্দ্ৰ মিঃ সুরিটার সম্মান ও শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিয়াছিলেন । ১৯০১ সালের এপ্ৰিল মাস পৰ্য্যন্ত শরৎচন্দ্ৰ ছোট আদালতে ওকালতি করেন ; ওকালতিতে র্তাহার প্ৰভূত পশার হইয়াছিল এবং তিনি যথেষ্ট অর্থও উপাৰ্জন করিয়াছিলেন। এই সময়ে কলিকাতায় প্লেগ রোগ মহামারী আকারে দেখা দেয় এবং তাহাতে আক্রান্ত হইয়াই শরৎচন্দ্ৰ দেহত্যাগ করেন । ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দে অর্থাৎ সিপাহী-বিদ্রোহের এক বৎসর পূর্বে শরৎচন্দ্রের জন্ম হয়। তিনি পিতা-মাতার যেমন স্নেহভাজন ছিলেন, তেমনই পিতামাতার প্ৰতি সন্তানের যে কৰ্ত্তব্য তাহা পূর্ণমাত্রায় পালন করিতেন। পিতামাতা এই পুত্রের জন্য গৌরব বোধ করিতেন। শরৎচন্দ্ৰ নিৰ্ম্মলচরিত্র, অমায়িক-স্বভাব, স্বাবলম্বী, শিষ্টাচারপরায়ণ এবং তেজস্বী ছিলেন ; তিনি প্রত্যহ গঙ্গাস্নান করিতেন। মৃত্যুর কয়েক মাস পূৰ্ব্বে তিনি র্তাহার এই নিত্য-গঙ্গামানের অভ্যাস ত্যাগ করেন । লোকে বলে,— এই অভ্যাস-ত্যাগের জন্যই কাল প্লেগ রোগ তাহাকে আক্রমণ করিতে সমর্থ হইয়াছিল। তাহার শ্বশুর বাবু শ্যামলধন দত্ত প্রচুর অর্থের অধীশ্বর ছিলেন এবং তঁহার পুত্রসন্তান ছিল না। র্তাহার দৌহিত্রগণই তাহার বিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী । ইহা সত্ত্বেও শরৎচন্দ্ৰ স্বকৃত উপার্জনের উপরই নির্ভরশীল ছিলেন এবং স্বীয় উপার্জিত অর্থেই কলিকাতা ও মধুপুরে সম্পত্তি ক্রয় করিয়াছিলেন। শরৎচন্দ্রের ৭ পুত্ৰ ও ৪ কন্যা। একটা পুত্র ৮/৯ বৎসর বয়সে স্বৰ্গীয় সুরেশচন্দ্ৰ মিত্রের সুকিয়া ষ্ট্রীট-স্থিত বাটীর পুষ্করিণীতে জলমগ্ন হইয়া প্ৰাণত্যাগ করে।