পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yð br es-Pfab, গিরীশ বাবুর মৃত্যুর পর ১৯১০ খৃষ্টাব্দে তিনি ওকালতী হইতে অবসর গ্ৰহণ করেন ও কাশীবাসী হন। ১৯২৭ খৃষ্টাব্দে ইনি ইহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা পূর্ণচন্দ্রের আমহাষ্ট ষ্ট্রটস্থ “পূর্ণ লজ” নামক বাটীতে পরলোক গমন করেন। এখানে পূর্ণ বাবুর পুত্ৰ অতুলচন্দ্র এবং পূর্ণবাবুর স্ত্রী তাহার যথোচিত সেবা-শুশ্রুষা করিয়াছিলেন। নরেশবাবু উইল করিয়া তঁহার সমস্ত সম্পত্তি র্তাহার স্ত্রীকে দান করিয়া যান। নরেশবাবুর মৃত্যুর পর তাহার স্ত্রী কাশীবাস করিতেছেন। নরেশবাবুর স্ত্রী ধৰ্ম্মপ্ৰাণা মহিলা । তিনি গিরীশবাবুর কাশীধামের বাটীতে একটী শিবমন্দির নির্মাণ कड़िशांछन् । গিরীশচন্দ্রের পঞ্চম পুত্রের নাম সুরেশচন্দ্ৰ। ইনি র্চচুড়ার প্রসিদ্ধ সোম-বংশীয় স্বৰ্গগত। বাবু বরদাচরণ সোমের কন্যাকে বিবাহ করেন । সুরেশ বাবুর তিন পুত্র ও দুই কন্যা | পুত্ৰগণের নাম-নিৰ্ম্মল, পরিমল ও সুবিমল ! ইনি সপরিবারে ৫১ নং ঘোষ লেনে বাস করিতেন । ইহার এক পুত্র ১৯২৬ খৃষ্টাব্দে টাইফয়েড রোগে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এই যুবক প্রেসিডেন্সি কলেজের বিশেষ কৃতী ছাত্র ছিল। মৃত্যুর পর তাহার শবদেহ তাহার সহপাঠীগণ কর্তৃক নিমতলার শ্মশানঘাটে নীতি হইয়াছিল । কারণ, তাহার মৃত্যুতে উহারা অত্যন্ত শোকাভিভূত হইয়াছিল। এই পুত্রের মৃত্যুর পর সুরেশ বাবু বিষয়-কৰ্ম্ম হইতে অবসর গ্ৰহণ করেন এবং ১৯৩৪ সালে তঁহার মৃত্যু হয়। গিরীশচন্দ্রের ষষ্ঠ পুত্র রমেশচন্দ্ৰ ইমারতের কণ্টাক্টর ছিলেন । তিনি এই কাৰ্য্যে সুখ্যাতি অর্জন করিয়াছিলেন। ইনি হাইকোর্টের সুপ্ৰসিদ্ধ উকীল বাবু শ্ৰীনাথ দাসের এক কন্যাকে বিবাহ করেন। কণ্টাক্টের কাৰ্য্যে রমেশবাবু প্ৰভূত অর্থ উপাৰ্জন করিয়াছিলেন। শেষ জীবনে ব্যবসায়ে তাহার ক্ষতি হয়। র্তাহার সম্পত্তি তিনি তাহার তিন পুত্রকে দিয়া যান। তিন পুত্রের নাম-গণেশ, সুশীল ও অনিল ।