পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ゲや ংশ-পরিচয় যোগ্যতা প্ৰদৰ্শনের ক্ষেত্ৰ পান নাই। কারণ কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিবার সময়ে ইনি বৰ্দ্ধমান রাজসরকারে মাসিক ১২২ টাকা বেতনের মুহুরীগিরি কৰ্ম্ম পাইয়াছিলেন। উপায়ান্তর না দেখিয়া এই কাৰ্যই তিনি তখন গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। রাজারামের মোকােরর হইবার পাঁচ সাত বৎসরের মধ্যে এক দিবস মুর্শিদাবাদের নবাব-সরকার হইতে একজন পত্ৰবাহক একখানি পত্ৰ লইয়া বৰ্দ্ধমানের রাজ-সকাশে উপস্থিত হইয়া বলে, “মহারাজ ! আপনার নামে এই পত্ৰ আছে, শীঘ্রই ইহার উত্তর লইয়া যাইবার হুকুম আমার উপর দেওয়া হইয়াছে । নবাব বলিয়াছেন, উত্তর দিতে যেন একটুও বিলম্ব না হয় ।” তৎক্ষণাৎ মহারাজ মুন্সীকে তলব করিলেন। মুন্সী অবিলম্বে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তখনই তঁহার হাতে পত্রখানি দেওয়া হইল ; মুন্সীজী চিঠিখানি দেখিয়াই বলিলেন, “এই চিঠি আরবী ভাষায় লেখা ; আমি আরবী ভাষা জানি না। মহারাজের সরকারে রাজারাম চৌধুরী নামে একজন মুহুরী আছে, সে ব্যক্তি আরবী ও ফারসী ভাষায় বিশেষ পণ্ডিত-মৌলবী বলিলেই হয়।” মহারাজের হুকুমে তখনই রাজারাম চৌধুরীকে ডাকিয়া আনিবার জন্য লোক ছুটিল । রাজসরকারের লোকেরা গিয়া দেখিল, রাজারাম বাক নদীর তীরস্থিত নিজ বাসাবাটীতে রন্ধন করিতেছেন। বেলা তখন প্ৰায় দ্বিপ্রহর অতীত হইয়াছে। রাজারাম রাজবাটীর হরকরাকে আসিতে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “এমন অসময়ে আসিয়াছ কেন ?” সে উত্তর করিল, “মহারাজ আপনাকে এখনই ডাকিয়াছেন ; শীঘ্ৰ চলুন।” রাজারাম উত্তর করিল, “আমি রন্ধন করিতেছি, আহার করিয়াই যাইব ।” হরকরা মহারাজ সমীপে যাইয়া এই কথা নিবেদন করিল। তখন নবাবের পত্ৰবাহক বলিল, “নবাব বাহাদুরের চিঠির উত্তর অবিলম্বে দিবার হুকুম আছে, কিছুমাত্র বিলম্ব করিবেন না।” এই কথা শুনিয়া মহারাজ রাজারামকে অবিলম্বে আনিবার জন্য চারিজন হরকরাকে পাঠাইলেন । হরকরাগণ