পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

àrbar st-effab, কোনও কথা বলি নাই।” ইহা শুনিয়া মহারাজা জনৈক আমলাকে ডাকিয়া বলিলেন, “আপনি রাজারাম চৌধুরীর নিকট যান এবং তঁহাকে সঙ্গে করিয়া আমার নিকট হাজির করুন।” আমলা রাজারামের বাসায় উপস্থিত হইয়া দেখেন তিনি খাইবার জন্য আয়োজন করিতেছেন, আমলা তাহাকে বিশেষ করিয়া বুঝাইয়া, ঠাণ্ডা করিয়া, রাজ-সকাশে আনয়ন করিলেন । মহারাজার নিকট রাজারাম উপস্থিত হইবামাত্ৰ মহারাজ তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “চৌধুরী তুমি কি নিজে রন্ধন করিয়া থাক ?” রাজারাম উত্তর করিলেন, “মাসিক ১২২ টাকা মাত্র বেতন পাই, স্বয়ং রন্ধন না করিয়া উপায় কি ? বার টাকা বেতনের মুহুরী রসুইয়া রাখিয়া সে খাইবে কি ?” মহারাজ পূর্বেই বুঝিয়াছিলেন, বেতন অল্প বলিয়া রাজারামকে নিজেই রসুই করিয়া খাইতে হয়। তাহার উপর অদ্য ক্ষুধার সময়ে অৰ্দ্ধ প্ৰস্তুত। অন্ন ত্যাগ করিতে হওয়ায় চাকুরীর উপর চৌধুরীর অশ্রদ্ধা জন্মিয়াছে। এক্ষণে রাজারামের মুখে স্বল্প বেতনের কথা শুনিয়া তিনি ভাবিলেন, রাজারাম যেরূপ পণ্ডিত ও যোগ্য ব্যক্তি, তাহাতে মুহুরীর কার্য্য তাহার যোগ্যতা প্ৰদৰ্শনের ক্ষেত্র নহে ! তাই রাজারামের কথা শুনিয়া মহারাজা বলিলেন, “তোমার রোকশোধ না-মঞ্জুর। অদ্য হইতে তুমি এই রাজসরকারের দেওয়ান হইলে, তোমার বেতন হইল, মাসিক ১০ • ০২ এক হাজার টাকা।” ইহা শুনিয়া মহারাজের আদেশে চোপদার, চৌপাল (চতুৰ্দোলা-ইহা পান্ধীর পরিবর্তে ব্যবহৃত হইত), বেলদার অর্থাৎ রেশালা লোক ও মোশালচি প্ৰভৃতির যথাযোগ্য রূপ ব্যবস্থা হইল। BBY SLLL DDD KD দেওয়ান পদ লাভ করিবার পরও রাজারাম হরিপাল গ্রামেই বাস করিতে থাকেন। তথায় বিখ্যাত ‘হাটদীঘি” নামক পুষ্করিণী খনন