পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুগলি জেলার বাক্স গ্রামের জমিদার বংশ >brぬ করাইয়া ও বিস্তর ভূসম্পত্তি করিয়া তিনি মনে মনে বিবেচনা করিলেন যে, শুরুশিষ্যে এক গ্রামে বাস করা উচিত নহে। এইজন্য তিনি প্ৰথমে আরও পশ্চিমাঞ্চলে যাইয়া বসবাস স্থাপনের জন্য অম্বিকা-কালনায় বসতি করিবার ইচ্ছা প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। ইহা শুনিয়া বাকুস-নিবাসী প্রভুরাম মিত্র নামক বৰ্দ্ধমান-রাজসরকারের জনৈক কৰ্ম্মচারী তাহাকে বলেন,—“আমার নিবাস বাকুসা গ্রামে ; এই গ্রাম গঙ্গার পশ্চিমতীর হইতে ৪ ক্রোশের মধ্যে অবস্থিত ।” রাজারাম তাহার কথা শুনিয়া বাকুসা গ্রামেই বাস করিবার ইচ্ছা করিলেন। তিনি বৰ্দ্ধমানরাজসরকার হইতে ভদ্রাসনের জন্য ৭২ বায়াত্তর বিঘা। এবং তিন দেউড়ীর চৌকী পাহারার জন্য ৭৫ পচাত্তর বিঘা সনন্দ প্ৰাপ্ত হইয়া বাকুসা গ্রামে বসতি স্থাপন করেন । রাজারামের পুত্ৰগণও বৰ্দ্ধমান-রাজসরকারে কাৰ্য্য করিয়াছিলেন । বৰ্দ্ধমানের নিকট মোহনপুর গ্রামে তাহদের বাসাবাটী ছিল। অদ্যাপি ঐ বাসাবাটীর জমি চৌধুরী মহাশয়দিগের অধিকারে আছে। রাজারাম র্তাহাদের কুলদেবতা শ্ৰীশ্ৰী৬/ গোবিন্দ রায় জীউর সেবার জন্য চক গোবিন্দ নামক নিষ্কর দেবোত্তর মহল দিয়া গিয়াছেন ; উহার আয় হইতে এখনও পৰ্য্যন্ত রীতিমত দেবসেবা এবং দোল, দুর্গোৎসব ও অন্যান্য পুণ্যাহ কাৰ্য্য হইতেছে। হরিপালের ভূসম্পত্তি বেদখল ও পুনরুদ্ধার রাজারাম চৌধুরীর মৃত্যুর দুই পুরুষ পরে হরিপালের ভূসম্পত্তি হরিপাল-নিবাসী ভুবনমোহন রায় বেদখল করিয়াছিল। রাজারামের বংশধর কাশীরামের পৌত্র রূপনারায়ণ চৌধুরী এই ভূসম্পত্তি উদ্ধার করিবার জন্য হরিপালে গমন করেন এবং তথাকার অধিবাসী রক্ষিতদিগের