পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুগলি জেলার বাক্সা গ্রামের জমিদার বংশ চিকের বাহির হইতে দরখাস্তখানি পড়িয়া মহারাণীকে শুনাইলেন । মহারাণী হুকুম দিলেন,-“আমার বহুকালের পৈতৃক কৰ্ম্মচারী বংশের ভূসম্পত্তি সকল ছোট দেউড়ির দেওয়ান ভুবনমোহন রায় প্রতারণা করিয়া বেদখল করিয়াছে ; অতএব ৬০০ ছয় শত বেলদার ঢেলেৎ পেয়াদ ( হাতীয়ারধারী লোক ) রূপনারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে যাইবে এবং যে ব্যক্তি ইহাকে দখল দিতে আপত্তি করিবে, তাহাকে গ্ৰেপ্তার করিয়া সরকারে হাজির করিবে ।” সেই সময়ে ইংরেজ শাসনের আরম্ভ মাত্র হইয়াছে। তখন এই অঞ্চলের ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলার বিচারের ভার বদ্ধমানের মহারাজার উপর ন্যস্ত ছিল । মহারাণীর আদেশ অনুযায়ী রূপনারায়ণ হরিপালে গিয়া রক্ষিতদিগকে সঙ্গে লইয়া হাটদীঘি প্রভৃতি সমস্ত ভূসম্পত্তি দখল করিলেন, কেহ আপত্তি করিতে সাহসী হইল না। অতঃপর রূপনারায়ণ অম্বিকা-কালনায় হাজির হইয়া সমস্ত বিবরণ মহারাণীকে জ্ঞাপন করিলে তিনি হুকুম দিলেন, “আমি কল্য বৰ্দ্ধমানে যাইব, তুমি তথায় হাজির থাকিবে ।” বৰ্দ্ধমান রাজসরকারে নূতন পদলাভ মহারাণী মহোদয়ার আদেশ মত রূপনারায়ণ চৌধুরী বৰ্দ্ধমান রাজবাটীতে উপস্থিত হইয়া মহারাণীর সম্মুখে হাজির হইলেন। তখন মহারাণী দাসী দ্বারা বলাইলেন, “তোমাকে ইজারায় বাকী খাজনা আদায়ের জন্য কৰ্ত্ত নিযুক্ত করা হইল। “তোমার কাছারি, দেওয়ান, দপ্তর ও কারকুণ সম্পূর্ণরূপে স্বতন্ত্র, দপ্তরের অধীন নহে।” ইহা শুনিয়া রূপনারায়ণ নিবেদন করিলেন, “বাকী আদায় সম্বন্ধে আমার চেষ্টা-যত্নের ক্ৰটি হইবে না ; তবে একটী বিষয়ে মহারাণী মহোদয়ার নিকট প্রার্থনা