পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুগলী প্ৰতাপপুরের বসুবংশ Վ)Վ) মহেন্দ্ৰনাথ দীর্ঘায়ু ছিলেন এবং কলিকাতায় সওদাগরী অফিসে কৰ্ম্ম করিতেন। তিনি হুগলী জেলার তাজপুর গ্রামের সিংহ-পরিবারের কন্যা রাধাবিনোদিনীকে বিবাহ করেন । অবসর লইয়া তিনি কলাছড়ার বাটীতে বাস করিতেছিলেন এবং ১০২১৷৷৯১৭ সালে শুক্রবার তিনি বিধবা পত্নী ও ৩টি পুত্রসন্তান রাখিয়া ঐ বাটীতেই নশ্বর দেহত্যাগ করেন । পুত্ৰগণের নাম—( ১ ) নিরেন্দ্ৰনাথ ( ২ ) হরেন্দ্ৰনাথ ( ২৮২৩০ তারিখে বসন্ত-রোগে ইহার মৃত্যু হয় ) এবং (৩) পঞ্চানন। কলাছড়ার পৈতৃক বাটী। ইহাদের জন্য নির্দিষ্ট হইয়াছে। ইহাদের মাতাও কলাছড়ার বাটীতে দেহত্যাগ করিয়াছিলেন। কাশীনাথের দ্বিতীয় পুত্র ঈশানচন্দ্ৰ চুচুড়ায় সোম-বংশীয় সব জজ । রায় বেণীমাধব সোম বাহাদুরের ভগ্নী গোবিন্দমণিকে বিবাহ করেন এবং অতি অল্পবয়সে মনোমোহিনী নামে একটি কন্যা রাখিয়া দেহত্যাগ করেন। এই মনোমোহিনীর সহিত চন্দননগরের পালিত-বংশের গোপালচন্দ্ৰ পালিতের বিবাহ হয় । গোপালচন্দ্ৰও অল্পবয়সে মারা যান এবং মনোমোহিনী নিঃসন্তান অবস্থায় আপনার জননীর সহিত কাশীবাসিনী হইয়া শেষজীবন তথায় অতিবাহিত করেন । কাশীনাথের তৃতীয় পুত্ৰ গিরিশচন্দ্ৰ হাওড়া জেলার আন্দুল গ্রামের চৌধুৱী-বংশের কন্যা কামিনীমণিকে বিবাহ করেন। হতভাগ্য যুবক বিবাহের কয়েক দিবস পরে ওলাউঠায় আক্রান্ত হইয়া মানবলীলা সংবরণ করেন। তঁহার পত্নী কামিনীমণি দীর্ঘায়ু হইয়া জীবিত ছিলেন এবং শেষবয়সে কাশীবাসিনী হইয়া তথায় শিবস্থাপনা করিয়াছিলেন । তিনি কাশীধামেই দেহত্যাগ করেন । কাশীনাথের চতুর্থ পুত্র হরচন্দ্ৰ হুগলী কলেজে শিক্ষা লাভ করিয়া কলিকাতায় লবণ-বিভাগে কেরাণীর পদে নিযুক্ত হন এবং পরে হেডক্লার্কের পদে উন্নীত হন। র্তাহার অল্প আয় হইলেও তাহার