পাতা:বংশ-পরিচয় (ষোড়শ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুগলী প্ৰতাপপুরের বসুবংশ SN) বৃদ্ধি করিয়া দেন এবং এই বাবদে তিনি মোট ২৫০ ০২ বিক্ৰী বেতন একসঙ্গে পাইয়াছিলেন । বিপিনবিহারী একজন সুদক্ষ প্ৰতিভাশালী কৰ্ম্মী বলিয়া খ্যাতি ও সম্মান লাভ করিয়াছিলেন এবং তঁাহার কাৰ্য্যদক্ষতায় হাতোয়া-রাজের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হইয়াছিল। কিন্তু অতিরিক্ত পরিশ্রমে তাহার চির রুগ্ন শরীর একেবারে ভাঙ্গিয়া যায়। ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে ভারত-সমাজ্ঞী মহারাণী ভিক্টোরিয়ার হীরকজয়ন্তী-উপলক্ষে তিনি রাজপ্ৰতিনিধির নিকট প্ৰশংসা-সূচক প্ৰতিষ্ঠাপত্ৰ প্ৰাপ্ত হন । সাৰ্ভে-সেটেলমেণ্টের কৰ্ম্মে ও দুৰ্ভিক্ষ-নিবারণের কাৰ্য্যে তাহার অসাধারণা কৰ্ম্মশক্তির পরিচয় পাইয়া গবৰ্ণমেণ্ট তাহাকে ১৮৯৯ সৃষ্টাব্দে “রায় বাহাদুর” উপাধিতে ভূষিত করেন। বিপিনবিহারী সময় সময় ১২০ ০২, বেতনে অস্তায়ীভাবে ম্যানেজারের কাজও করেন । বহুমূত্র ও দৌৰ্ব্বল্যজনিত পীড়ায় প্রায় শয্যাশায়ী হইয়া পড়ায় তিনি ১৯০৪ খৃষ্টাব্দে ২১০২ মাসিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হইয়া অবসর গ্ৰহণ করেন । কিন্তু স্বৰ্গীয় মহারাজা বাহাদুর যে পুরস্কার দিবার প্রতিশ্রুতি করিয়াছিলেন তাত নানাকারণে দুৰ্ভাগ্যক্রমে আর তিনি পূৰ্ণমাত্রায় পাইলেন না । "অতঃপর তিনি হুগলী সঙ্করের পিপুলপাতী মহল্লায় তাহার নবনিৰ্ম্মিত বাটাতে আসিয়া বাস করিতে থাকেন। পরে তাহার পুত্রের ঐ গৃহের নাম “বিপিন-ভবন” রাখিয়াছেন । এইখানেই ১লা কাৰ্ত্তিক ১৩১২ বঙ্গাব্দে ( ইং ১৮ই অক্টোবর ১৯০৫ সালে ) বিপিনবিহারী ৫৬ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন। তাহার মৃত্যুর পর হাতোয়া-রাজ তদীয় পুত্ৰগণকে ৫০ ০০২ এবং তদীয় পত্নীকে মাসিক ৭৫২ বৃত্তি দান করেন । ১৮৭৪ খ্ৰীষ্টাব্দে বিপিনবিহারী কলিকাতা সিমুলিয়া-নিবাসী ৬/ লক্ষ্মীনারায়ণ বসুর ভাগিনেয় এবং স্বনামধ্য ডাক্তার স্বভার কৈলাসচন্দ্ৰ বসুর পিসতুতো ভ্ৰাতা ৬/দ্বারিকানাথ ঘোষ মহাশয়ের কনিষ্ঠা কন্যা