পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

7 বংশ-পরিচয় মিশন’ কলেজে ( এখন উঠিয়া গিয়াছে )। ইংরাজী ও গণিত এবং প্রেসিডেন্সী কলেজে পদার্থ বিদ্যা ও রসায়ন পড়িতে লাগিলেন । তৃতীয় বার্ষিক শ্রেণীতে পাঠ্যকালে যাদবচন্দ্রেব স্নেহশালা জননী স্বৰ্গারোহণ করেন । যাদবচন্দ্ৰ এই সময়ে মাতৃশোকে এবং বালিক। পত্নী ও ভ্ৰাতা ভগ্নীদের লইয়া অত্যন্ত বিব্রত হইয় পডেন, কিন্তু তাহার বুদ্ধিমতী সুশীল। পত্নী শ্বাশুড়ীর অভাব ঘটিলে দেবর ও ননন্দাগণের সাহায্যে সংসারের শৃঙ্খল। বজায় রাখেন, এই জন্যই যাদবচন্দ্রের পক্ষে পাঠ চচ্চ। অব্যাহত রাখা সম্ভব হইয়াছিল। নিজের শিক্ষালাভের সঙ্গে সঙ্গে কনিষ্ঠ ভ্রাতা দুইটির শিক্ষা সম্বন্ধেও যাদবচন্দ্ৰ অত্যন্ত সচেষ্ট ছিলেন, তিনি নিজে যখন এম এ পড়েন তাহার ভ্ৰাতা দুইটি তৎকালে সিরাজগঞ্জে এণ্টান্স পরীক্ষার জন্য প্ৰস্তুত হইতেছিলেন । যাদবচন্দ্ৰ ঋণ করিয়া উভয় দ্রাতার পাঠের ব্যয় বহন করিতেছিলেন । যাদবচন্দ্র গণিত শাস্ত্ৰে এম-এ পড়িতে লাগিলেন, কিন্তু অর্থাভাবে পুস্তক ক্রয় করা। তাহার পক্ষে কষ্টসাধ্য ব্যাপার হইয়া উঠিল। এই সময়ে ভগবান বর্তাহার সহায় হইলেন । তিনি ম্যাকেঞ্জী কোম্পানীর নীলাম হইতে ৮০২. আশি টাকা মূল্যের পুস্তক ৯২ নয় টাকায় খরিদ করিলেন। এম-এ শ্রেণীতে তাহার সহিত আরও দুইজন গণিত পড়িতেছিলেন ; ইহাদের একজন রাজসাহী কলেজের ভূতপূৰ্ব্ব অধ্যাপক রাজমোহন সেন, অপরজন স্বনামখ্যাত গণিত পুস্তক প্রণেতা ৬/কালীপদ বসু। তাহার। ১৮৮১ খৃষ্টাব্দে এম-এ পাশ করেন । এই সময়ে যাদবচন্দ্ৰ সিটি কলেজে গণিতের অধ্যাপকের পদ পান। এবং কলিকাতায় বাসা করিয়া এণ্টান্স পরীক্ষোত্তীর্ণ উভয় ভ্ৰাতা এবং পত্নীকে কলিকাতায় লইয়া আসেন। পিতৃ বিয়োগের পর তাহার দ্বিতীয়