পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1ፖ বংশ-পরিচয় ভূতপূর্ব প্রিন্সিপাল স্বগীয় সারদ রঞ্জন রায় মহাশয় ‘এম এ ও' কলেজে অধ্যাপক ছিলেন, কলেজের কর্তৃপক্ষের সহিত কোন কারণে মতান্তর হওয়ায় স্বাধীনচেতা সারদারঞ্জন অকস্মাৎ কলেজ হইতে চলিয়া আসেন। তখন সার সৈয়দ আমেদ যাদবচন্দ্রকে দুই বৎসরের চুক্তি করিয়া তৎক্ষণাৎ আলিগড় গিয়া কাৰ্য্যভার গ্ৰহণ করিতে বলেন, কিন্তু ন্যায়পরায়ণ যাদবচন্দ্ৰ বলেন, তিনি কলেজে একমাস পূর্বে ‘নোটিশ” না দিয়া কখনও সেই কলেজ ত্যাগ করিতে পারেন না । সার সৈয়দ জিজ্ঞাসা করেন, “আপনি কি কলেজে কোন সর্ত দিয়াছেন ?” যাদববাবু তদুত্তরে বলেন, যদিও আমি কোন সৰ্ত্তে আবদ্ধ নহি, তথাপি আমি ন্যায়তঃ একমাস পূর্বে নোটিশ দিতে বাধ্য।” সার সৈয়দ আহমদ ইহাতে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয়া কোনরূপ চুক্তি ব্যতীত একমাস পরে তঁহাকে কাৰ্য্যে যোগ দিবার জন্য অনুরোধ করেন। সার সৈয়দ আলিগড়ে অনেকের কাছে গল্পীচ্ছলে এই কথা বলিতেন । ১৮৮৮ খৃষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারী তারিখে যাদবচন্দ্ৰ কাৰ্য্যভার গ্ৰহণ করিয়া আলিগড যাইয়া তত্ৰত্য উকীল স্বৰ্গীয় জ্বালা প্ৰসাদ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের বাড়ীতে কয়েক দিনের জন্য আতিথ্য গ্ৰহণ করেন । এই চট্টোপাধ্যায় মহাশয় এবং আলিগড়ের তদানীন্তন অন্যতম উকীল স্বৰ্গীয় আশুতোষ ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের সহিত পরে তাহার প্রগাঢ় বন্ধুত্ব স্থাপিত झूश । যাদবচন্দ্ৰ ২৮ বৎসর কাল আলিগড়ে বিশেষ কৃতিত্বের সহিত অধ্যাপনা করিয়াছিলেন, তথায় তিনি সর্বজনসমাদৃত ছিলেন। গণিতশাস্ত্রে র্তাহার অসামান্য প্রতিভা ও র্তাহার অমায়িক মধুর চরিত্রগুণে আকৃষ্ট হইয়া আলিগড়ের অধিবাসী শিক্ষিত সমাজ এবং কলেজের ভারতীয় এবং ইউরোপীয় প্রফেসরগণ র্তাহাকে অত্যন্ত শ্ৰদ্ধা ও প্রীতির দৃষ্টিতে