পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sobr ংশ-পরিচয় কাশ্যপ অপসার নৈ ধ্রুব প্রবর বিখ্যাত পুরুষোত্তম দত্তর ধারা এবং কোণা সমাজের দক্ষিণ রাঢ়ী কায়স্থ । ইহাদের পূর্বপুরুষ চন্দ্ৰকেতু দত্ত ১৬০৬ খ্ৰীষ্টাব্দে বৰ্ত্তমান খুলনা জিলার অন্তর্গত আসা শুনী থানার অধীন চাপাফুলী গ্ৰাম হইতে এখানে আসিয়া বসবাস করেন । ইনি উক্ত পুরুষোত্তম দত্ত হইতে সপ্তদশ পুরুষ পরে ছিলেন, এবং বঙ্গেশ্বর প্রতাপা? দত্যের মুন্সীর কাৰ্য্য করিতেন । কথিত আছে, প্ৰতাপাদিত্যের পতনের পর যখন মোগল সরকার হইতে র্তাহার বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারীগণকে ধরিবার আদেশ প্রদত্ত হয়, সেই সময় ইনি সপরিবারে প্রাণ রক্ষার্থে তৎকালে সুন্দরবন মধ্যে এই স্থানে পলাইয়া আসিয়া বসবাস করেন । এই সময় ইহার গুরু ও যজ্ঞ পুরোহিত শ্ৰীকৃষ্ণ উদগাথা ও রঘুনন্দন পোস্তা নামক দুইজন বৈদিক শ্রেণীর ব্ৰাহ্মণও সপরিবারে এখানে আসিয়া বসবাস করেন । ইহাদের বংশধরগণ এক্ষণে মজিলপুরের মধ্যভাগ ছাইয়া ফেলিয়াছেন। মজিলপুরের বহু প্ৰসিদ্ধ পণ্ডিত হঁহাদের বংশে জন্ম গ্ৰহণ করিয়াছেন। প্ৰবাদ-চন্দ্ৰকেতু দত্ত যখন এখানে আসেন, তখন এই স্থানটা সুন্দরবন মধ্যে দ্বীপাকারে ভাগীরথীর উপর অবস্থিত ছিল । পরবত্তীকালে এই চন্দ্ৰকেতু দত্তের প্রপৌত্র রামচন্দ্ৰ দত্ত ও তাহার বংশধরগণ সুন্দরবনে বিস্তৃত জমিদারী অর্জন করেন এবং ২৪ পরগণা জিলার জমিদারগণের মধ্যে অন্যতমরূপে প্ৰসিদ্ধ হন । উক্ত রামচন্দ্ৰ দত্ত এতদঞ্চলে “ছকু দত্ত” নামে পরিচিত ছিলেন । তিনি মজিলপুরে সুবৃহৎ অট্টালিকা ও দালানাদি নিৰ্ম্মাণ করাইয়া তথায় মহাসমারোহে শ্ৰীশ্ৰী রাধাকৃষ্ণের যুগল মূৰ্ত্তি প্ৰতিষ্ঠিত করেন । সাধারণের হিতার্থেও তিনি এতদঞ্চলে বহু অর্থ ব্যয় করিয়া গিয়াছেন । আজিও উহার নিদর্শনস্বরূপ মথুরাপুর, জয়নগর ও কুলপী থানার নানা স্থানে তাহার প্রতিষ্ঠিত অনেকগুলি বড় বড় জলাশয় দেখিতে পাওয়া যায় । তখন তাহার বাৰ্ষিক আয় প্রায় চারি লক্ষ টাকা ছিল । এতদঞ্চলে সুন্দরবনের বহু স্থান এই