পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক যাদবচন্দ্ৰ চক্রবত্তী এম-এ ବା দেখিতেন । আলিগড় কলেজের ট্রাষ্টিদের অধীনে যে সকল কমিটি ছিল, তিনি তাহার সকল গুলিরই সদস্য ছিলেন। কয়েক বৎসর কলেজের “ফাইন্যানসিয়াল ÇK{é’qx (Financial Board) রেজিষ্ট্রার ছিলেন। এবং কলেজ সংক্রান্ত সকল আয় ব্যয়ের হিসাব সূক্ষ্মভাবে ঠিক রাখিয়াছিলেন । সার সৈয়দ আহমদের বাড়ীর কাছেই অধ্যাপক চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয়ের -বাংলোবাড়ী ছিল, সার সৈয়দ যাদবচন্দ্ৰকে অত্যন্ত ভালবাসিতেন এবং সর্বদাই তাহার সহিত দেখাশোনা করিতেন । যখন যাদবচন্দ্ৰ সিটি কলেজে অধ্যাপনা করেন, সেই সময় হইতে তিনি তাহার বিখ্যাত গণিত পুস্তক প্রণয়ন আরম্ভ করেন, আলিগড় গিয়াও দুইবৎসর উহার জন্য র্তাহাকে পরিশ্রম করিতে হইয়াছিল। ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে তাহার ইংরাজী পাটিগণিত প্ৰকাশিত হয়। অতঃপর বাংলা, উদ্দু, হিন্দী, মারাঠী, আসামী ও নেপালী ভাষায় উহার অনুবাদ হয়। তিনি স্কুলের নিম্নতম শ্রেণীর জন্যও কয়েকখানি অঙ্কের পুস্তক লিখিয়াছিলেন। ১৯১২ খৃষ্টাব্দে তাহার বীজগণিত প্রকাশিত হয়। ১৯০১ খৃষ্টাব্দে যাদবচন্দ্ৰ বহু অর্থব্যয়ে সিরাজগঞ্জে একখানি প্ৰকাণ্ড বসতবাটি নিৰ্ম্মাণ করেন। যাদবচন্দ্রের পুত্ৰকন্যাগণ আলিগড়ে শৈশব অতিবাহিত করার ফলে সম্পূর্ণ হিন্দুস্থানী ভাবাপন্ন হইয়া পড়ে, এমন কি বাঙ্গালা ভাষা উচ্চারণ করাই তাহদের পক্ষে কষ্টসাধ্য হইয়া পড়িয়াছিল। এইজন্য সন্তানগণের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে চিন্তিত হইয়া যাদবচন্দ্র অবসর গ্রহণের প্রায় ১৫ বৎসর পূর্বেই পত্নী ও পুত্রকন্যাদিগকে দেশের বাড়ীতে রাখিয়া যান। যাদবচন্দ্রের পাঁচ পুত্র ও তিন কন্যা জন্মগ্রহণ করিয়াছিল, তার মধ্যে একটি কন্যা আলিগড়েই মারা যায়। জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ শ্ৰীযুক্ত রমেশচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তী। দ্বিতীয় পুত্ৰ স্বৰ্গীয় প্রফুল্ল চন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্ত্তী এম-এ বিএল