পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকুনার ঘোষ বংশ Y VO সরল বাঙ্গালী অভিধান চতুর্থ সংস্করণে লিপিবদ্ধ আছে। প্রিয়নাথের একমাত্র পুত্র সুরেন্দ্রনাথ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং স্থানীয় शाश्कांद्र লাইব্রেরিয়ান ( Librarian Judges' Library ) তুলসীচরণের কনিষ্ঠ ভগিনীর কলিকাতা কঁসারীপাড়া নিবাসী ৬/কালাচাদ দত্তের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ অমিয়চাঁদ দত্তের সহিত বিবাহ হয়। ইহার তিন পুত্র এবং দুই কন্যা, জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম পুত্ৰ কলিকাতা ইম্পিরিয়্যাল ব্যাঙ্কে क* क८द्धव् | তুলসীচরণ যে শুধু কৰ্ম্মজীবনে নিজ পদোন্নতির জন্য অকাতরে পরিশ্রম করিয়াছেন, এমন নহে | কলিকাতা সহরে প্রথম প্লেগের সময় তিনি স্বৰ্গীয় খ্যাতনামা ডাক্তার মহেন্দ্ৰলাল সরকার, ডাক্তার হেমচন্দ্ৰ চৌধুরী, বাবু প্রিয়নাথ কর প্রভৃতি মহোদয়গণের সহকারীরূপে ১১ নং ওয়ার্ডের প্লেগ হাসপাতাল স্থাপন কাৰ্য্যে প্ৰভূত পরিশ্রম করিয়াছিলেন। ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দে তুলসীচরণ কতিপয় বন্ধু সমভিব্যাহারে তঁাহার পৈতৃক বাস ভবনে নিজ বাটী হইতে কতকগুলি পুস্তক লইয়া সরস্বতী লাইব্রেরী স্থাপনা করেন । অতি অল্পকাল মধ্যেই তাহাদিগের অকাতর পরিশ্রমের ফলে ইহা সাধারণ পাঠাগারে পরিণত হয় । সেই সামান্য অনুষ্ঠানটি আজ ১১ নং ওয়ার্ডে শাখারিটােলা লেনের উপর প্রসিদ্ধ ‘সরস্বতী ইনষ্টিটিউট” নামে সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছে। তুলসীচরণ একজন সাহিত্যিক এবং কৰ্ম্মভারাক্লান্ত জীবনেও সাহিত্য-চৰ্চায় ক্ষান্ত থাকেন না । ইহার সম্বন্ধে সুবলচন্দ্ৰ মিত্রের সরল বাঙ্গালা অভিধান চতুর্থ ংস্করণে যাহা লিপিবদ্ধ আছে, তাহার সারাংশ নিমে উদ্ধত হইল - “ইনি জাতিতে কায়স্থ । ইনি “কালনেমি” নামক সামাজিক নাটক প্ৰনয়ণ করিয়াছেন। লেখক নবীন হইলেও ভাষার মাধুৰ্য্যে ও লিপি চাতুৰ্য্যে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়াছেন। মাসিক পত্রিকাদিতে ইনি গল্প ও প্ৰবন্ধাদি লিখেন । ইনি এখন একজন উচ্চ পদস্থ কৰ্ম্মচারী।