পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক যাদবচন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্ত্তী এম-এ Ο Σ আধার উপহার দিয়াছিল। গুণমুগ্ধ বন্ধুবৰ্গ মূল্যবান কার্পেট স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ দিয়াছিলেন । অধ্যাপক চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় যে দিন আলিগড় পরিত্যাগ কবিয়া আসেন সেদিন তাহাকে বিদায় দিবার জন্য রেলওয়ে প্লাটফৰ্ম্মে অধ্যাপকগণ, ছাত্রবর্গ ও বন্ধুবান্ধবগণের বিপুল সমাবেশ হইয়াছিল। পুষ্পমালো বিভূষিত করিয়া তাহাকে ট্রেণে তুলিয়া দিবার পর যখন ট্রেণ ছাড়িল তখন তাতার উপর অজস্র ধারে পুষ্পবৃষ্টি হইতে লাগিল, এইরূপে ক্রমে তিনি তাহার প্রিয় কৰ্ম্মভূমি আলিগড় হইতে দূরে সরিয়া যাইতে লাগিলেন, প্লাটফন্মের উপরে তঁাহার গুণমুগ্ধ বন্ধুমণ্ডলী ও ছাত্ৰবৰ্গ যাদবচন্দ্রের গমন পথের প্রতি বাষ্পাকুল লোচনে চাহিয়া রহিলেন। এই বিদায়ের দৃশ্য অত্যন্ত মন্মস্পর্শী হইয়াছিল । অবসর গ্রহণের পর সিরাজগঞ্জে আসিলে যাদবচন্দ্ৰকে সেখানকার মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয় এবং তিনি অনারারী সাজিষ্ট্রেটের পদ ও গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । যাদবচন্দ্রের জীবনের নিয়মানুবৰ্ত্তিতা, ধৈৰ্য্যশালতা ও গভীর কৰ্ত্তব্য নিষ্ট ছাত্ৰগণের পক্ষে শিক্ষণীয় সন্দেহ নাই। বাল্য ও যৌবনে স্বাদব চন্দ্ৰকে কঠোর জীবন সংগ্রামে নিস্পেষিত হইতে হইয়াছিল, কিন্তু জ্ঞান লাভের জন্য কোন দুঃখকেই বরণ করিতে তিনি পশ্চাদপদ হন নাই । এই সুকঠোর দুঃখবরণ করিবার ফলেই তিনি মানুষের আকাজিত অতুল প্ৰতিস্থা। লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। যে সকল বিদ্বান ও কৃতিপুরুধ সমগ্ৰ ভারতে-বিশেষতঃ বঙ্গদেশ, আসাম, বিহার, উড়িষ্যা, মধ্যভারত, যুক্ত প্রদেশ, রাজপুতানা ও পাঞ্জাবে সৰ্ব্বজন পরিচিত ও প্ৰসিদ্ধ হইয়াছেন যাদবচন্দ্ৰ তাহাদের অন্যতম ।