পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্তর কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত কো-সি-এস-আই YR O -হয় । সেই সময়ে ঢাকাতে কতিপয় উৎসাহী ব্যাক্তির চেষ্টায় সঙ্গত সভা নামক একটী সভা স্থাপিত হয়। কৃষ্ণগোবিন্দ ভ্ৰাতৃগণ সহ এই “সঙ্গত সভা” য় যোগ দিতেন । ঢাকার আম্মানীটোলায় একটি ছাত্রাবাস ছিল ; কৃষ্ণগোবিন্দ বঙ্গচন্দ্র রায় মহাশয়ের সহিত সেই ছাত্রা-বাসে অবস্থান করিতেন। এই ছাত্রাবাস যে বাড়ীতে অবস্থিত ছিল সেই • বাড়ীর অপরাংশে ব্রজসুন্দর মিত্ৰ নামক জনৈক ভদ্রলোক ছিলেন ; তিনি ব্ৰাহ্ম সমাজে কাৰ্য্য করিতেন। সুতরাং কৃষ্ণ গোবিন্দ ও তাহার ভ্ৰাতৃগণ বাল্যকাল হইতেই ধৰ্ম্মের আবেষ্টনের মধ্যে-বিশেষ করিয়া ব্ৰাহ্ম -ধৰ্ম্মের আবহাওয়ার ভিতরে মানুষ হইয়াছিলেন । ১৮৬৬ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী ষোল বৎসর বয়সে কৃষ্ণগোবিন্দের বিবাহ হয়। বিবাহ হিন্দু মতেই হইয়াছিল। সেই সময়ে তাহার পত্নী প্ৰসন্নতারার বয়স এগার বৎসর মাত্র । বিবাহ যখন হয়, তখনও কৃষ্ণগোবিন্দ সেই ছাত্রাবাসেই অবস্থান করিতেছিলেন । তিনি বালিকাপত্নীর আগ্রহে “সঙ্গত-সভা”য় বিবরণ প্ৰতি সপ্তাহে তাহাকে লিখিয়া -পাঠাইতেন । তাহাতে কৃষ্ণগোবিন্দের প্রতিদিনের জীবন-সংগ্রাম ও জয়-পরাজয়ের ইতিহাস লিপিবদ্ধ থাকিত। স্বামী-প্ৰদত্ত এই সকল বিবরণ হইতে প্ৰসন্নতারার কোমল প্ৰাণে ধৰ্ম্ম ভাব জাগ্রত হইত। ১৮৬৬ খ্ৰীষ্টাব্দের শেষাশেষি কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশয় দ্বিতীয়বার ঢাকায় -গমন করেন। কেশবচন্দ্রের উদ্দীপনাময়ী বক্ততা শ্রবণ করিয়া “সঙ্গীতসভার” সদস্যগণ হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতি বিরাগ প্ৰদৰ্শন করিতে লাগিলেন এবং সংস্কারের নামে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের অনুরাগী হইয়া উঠিলেন। তঁাহারা বিশেষভাবে হিন্দুর সামাজিক আচার-ব্যবহার অমান্য করিতে আরম্ভ করিলেন । এই সময়ে জালালউদ্দীন মিঞা নামক জনৈক মুসলমান যুবক “সঙ্গীতসভা”র সদস্য হইয়াছিলেন এবং ব্ৰাহ্মধর্মের প্রতি তঁহার মনে সবিশেষ অনুরাগের সঞ্চারও হইয়াছিল। কৃষ্ণগোবিন্দ যে ছাত্রাবাসে থাকিতেন,