পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাজি আবদুর রশিদ খাঁ । হাজি আবদুর রশিদ খাঁ যে বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, সেই বংশ পূর্ববঙ্গের প্রধান প্ৰধান সন্ত্রান্ত মুসলমান বংশের অন্যতম। পাঠান রাজত্বের শেষ ভাগে বাঙ্গালায় এই বংশের অভু্যদয় হয় । এই বংশ অতীব প্ৰাচীন বংশ । এই বংশের পূর্বপুরুষগণ বাঙ্গালার পাঠান রাজবংশের সহিত সম্পর্কিত ছিলেন ; তঁহাদের মধ্যে অনেকেই বংশ-পরম্পরায় পাঠান রাজাদের রাজন্মচারীদিগের মধ্যে উচ্চপদ লাভ করিয়াছিলেন । পাঠান রাজত্বের পতনের পর এই বংশের অন্যতম পূৰ্বপুরুষ আফজল খা। পূর্ববঙ্গের ঢাকা জিলার মাণিকগঞ্জ সাব ডিভিসনের এলাকায় ঢাকিজোড়া গ্রামে বাসস্থান স্থাপন করেন । তিনি নিজ প্ৰতিভাবলে এই গ্রাম ও তাহার পার্শ্ববৰ্ত্তী গ্রামসমূহ দখল করিয়া তথায় প্ৰভূত্ব স্থাপন করেন। এক সময়ে তাহার পুত্ৰ মোরাদি খার সহিত বার ভুইঞার অন্যতম ইতিহাস প্ৰসিদ্ধ চাঁদ রায়ের সংঘর্ষ উপস্থিত হয় এবং সেই যুদ্ধে তিনি বন্দী হন । তিনি অতি সুপুরুষ ছিলেন । প্ৰবাদ আছে যে, চাঁদ রায়ের কন্যা তাহার আকৃতিগত সৌন্দৰ্য্য-দর্শনে মুগ্ধ হইয়া তঁহাকে কারাগার হইতে পলায়নে সাহায্য করিয়াছিলেন । তিনি পূর্ব অধিকার লাভ করিয়া পুনরায় চাঁদ রায়ের বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছিলেন, কিন্তু কেহ কাহাকেও পরাস্ত করিতে পারেন নাই । মোরাদি খাঁর মৃত্যুর পর তঁহার পুত্র রেজা খাঁর সহিত ঘটনাচক্ৰে অন্যতম পাঠান সর্দার হায়াত খ্যার সংঘর্ষ উপস্থিত হন । কিন্তু প্ৰবল পাঠান সৈন্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রেজা খার পক্ষে দুঃসাধ্য হইল এবং সেই যুদ্ধে তিনি পরাজিত হইলেন। সর্দার হায়াত খাঁ তাহার সমস্ত সম্পত্তি লুণ্ঠন