পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S বংশ-পরিচয় দীর্ঘরাত্রি সমাজেব কল্যাণ চিন্তায় তাহার। এই স্থানে যাপন করিয়া জাতির চিত্তপটে ইহাকে চির-জাগরদ্ধক রাখিয়াছেন, তাহা স্মরণ করিয়া প্ৰত্যেক পীবর সন্তান এই স্তানে মস্তক নত করে ; সঙ্গে সঙ্গে জলসরা গ্রামেব জন্য তান্তরেব শ্রদ্ধা নিবেদন করিয়া থাকে । এই গ্রামে যে সকল ধীবর পরিবারের বাস বিশ্বাস বংশ তােত "দেব অন্যতম। গ্রামের সকলেই মধ্যবিত্ত গৃহস্ত-কায়িক পরিশ্রমেব দাবা তাহাদের সকলকেই দিন নির্বাহ করিতে হয় । মৎস্য শাকাব্য ও বিক্রয় এবং সামান্য কিছু জমি চাষ করিলেও বস্ত্ৰবয়ন—বিশেষ ভাবে গরদ বস্ত্ৰবয়ন-ত হাদের জীবিকার প্রধান অবলম্বন ছিল । ঘাটলেব গািরদ বস্ত্ৰ যে এককালে বঙ্গের শিল্প-সম্পদের মৰ্য্যাদাময় অসনে অধিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহােব জন্য এই সকল ধীবর শিল্পীর কৃতিত্ব কতখানি তাহ। আজ কে নির্ণয় করিবে ? তবে সেকালে ইহার যে “তঁাতি-জেলো” নামে অভিহিত হইত—তদ্মার। এই সিদ্ধান্তে উপনীত ভাওন্ন। অসঙ্গত নয় যে, মৎস্যজীবীকুলে জন্মগ্রহণ করিয়াও ইহারা তন্তু চালনায় ও বস্ত্রশিল্পে সমধিক বুৎপন্ন ছিল। বঙ্গের ৭২ লক্ষ মৎস্যজীবীর মধ্যে এই সম্প্রদাঘ মুষ্টিমেয় । ইহাদের বর্তমান সংখ্যা সৰ্ব্বসাকুলো পাচ সহস্রের অধিক হওয়া দুষ্কর। ইহাদের সাধারণ পরিচয় ধীবর বা জেলে-কিন্তু সামাজিক পরিচয় “র্তাতি-জেলে ।” এই সামান্য গণ্ডীর মধ্যেই এই সম্প্রদায়ের সামাজিক আদান প্ৰদান কাৰ্য্য সম্পন্ন হইয়া থাকে। গয়ারাম বিশ্বাস এই বংশে যখন জন্মগ্রহণ করেন, তখন এই বংশের আর্থিক অবস্তা তেমন স্বচ্ছল না হইলেও, তাহার পিতৃদেব ৬/বলাইচন্দ্রের তেজস্বিতা, বাগিতা ও ঐকান্তিকতার গুণে এই বংশের যশ-সৌরভ শুধু জলসরা