পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘাটাল-জলসরার বিশ্বাস বংশ G গ্রামে নয়-সারা বঙ্গের ধীবর সমাজে বিস্তৃতি লাভ করিয়াছিল। ৬/বলাইচন্দ্রের চারি পুত্ৰ—গয়ারাম, গঙ্গারাম, গদাধর ও ভগীরথ । পুত্ৰগণের বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পিতার দারিদ্র্য বিশেষভাবে ফুটিয়া উঠে। কারণ, সেকালে অল্প বয়সেই পুত্ৰাদির বিবাহ দেওয়ার প্রথা প্ৰচলিত ছিল। এ প্ৰথা লজঘন করা সমাজে প্ৰতিষ্ঠাসম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে সম্ভবপর হইত না । অধিকন্তু কন্যাপক্ষকে বিলক্ষণ “পণ” দিয়া সন্তুষ্ট করিতে না। পারিলে পাত্রী সংগ্ৰহ করা বরপক্ষেব ঘটিয়া উঠিত না । এ অবস্তায় বলাই চাদ, উপরি উপরি ৪টি পুত্রের বিবাহ যথেষ্ট পণ দিয়া ও স্বীয় মৰ্য্যাদানুরূপ সমারোহে সম্পন্ন করায়, বিলক্ষণ অ্যাথিক অস্বচ্ছলতা অনুভব করিতে থাকেন। এই অনটন ও অর্থকৃচ্ছতার মধ্যেই তাতার লোকান্তর ঘটে। পত্নী “শ্ৰীমতীসুন্দরী” ইতিপূর্বেই ইতিলোক পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । মাতৃহীন বালকগণ এক্ষণে পিতৃতার হইয়। জগৎ অন্ধকার দেখিতে লাগিল । সেই সময় ইহাদের মাতামহ মহাশয় কন্য। জামাতার শোকে একদিকে যেমন অভিভূত হইয়া পড়েন—অন্যদিকে সেইরূপ বেদন। ঐ সকল অভিভাৰাকহঁচীন, তরুণমতি বালকগণের ভবিষ্যৎ ভাবনায় অনুভব করেন । তাহার পুত্ৰ সন্তান ছিল না। একমাত্র কন্যা! শ্ৰীমতী পূৰ্ব্ব চাইতেই তাহাব বক্ষে শেলাঘাত কবিয়া চলিয়া গিয়াছে। বৃদ্ধের চিন্তাধারা ভিন্ন পথে চলিতে লাগিল । তাহার যৎসামান্য বিষয় সম্পত্তি কে রক্ষা করিবে ! মৃত্যুর পর জ্ঞাতিগণ তাহার সবটাই আত্মসাৎ করিনি। ঐ অপোগণ্ড কয়টাকে ফাঁকি দিবে। সেজন্য সময় থাকিতে তিনি জ্যেষ্ঠ দৌহিত্র গয়ারামকে উদয়গঞ্জস্থ নিজ বাসভবনে আনাইয়। রাখেন ও উত্তরকালে তঁাহার হস্তে সমস্ত বিষয় সম্পত্তি ন্যস্ত করিয়া নিবন্ধুদ্বেগে পরলোকের পথে যাত্রা করেন ।