পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yeby বংশ-পরিচয় নিযুক্ত ছিলেন । কৰ্ম্ম হইতে অবসর গ্ৰহণ করিয়া তিনি জনহিতকর কাৰ্য্যে মনোযোগ দিয়াছিলেন। দীন, দুঃখী জনের দুঃখমোচন তাহার জীবনের সদাব্রত ছিল। তাহার হৃদয়ের একদিক ছিল রাজসরকারের উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারীর দৃঢ়তা ও দক্ষতায় ভরা, অপরদিক ছিল তেমনিই মোহ-প্ৰবণ, কুসুমের মত কোমল, দয়া দাক্ষিণ্য, মমতায় সুললিত। একই ব্যক্তির মধ্যে এই দুই গুণের সমন্বয় কদাচিত দৃষ্ট হয়। তিনি একজন পরম জ্ঞানী পুরুষ ছিলেন । কলিকাতা ইউনিভারসিটী ইনষ্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তিনি একজন প্ৰধান উদ্যোগী পুরুষ ছিলেন । তিনি ইতিহাস প্ৰসিদ্ধ, কলিকাতা শোভাবাজার রাজবংশের ৬/মহারাজা স্তর নরেন্দ্ৰ কৃষ্ণ দেবের পুত্ৰ ৬/রাজা বাহাদুর গোপেন্দ্ৰ কৃষ্ণ দেবের ( আই, সি, এস, ) চতুর্থ কন্যাকে বিবাহ করেন । তিনি প্ৰায় ২॥ বৎসর যাবত রক্তের চাপ বৃদ্ধি রোগে ভুগিয়া, গত ১৯৩৫ সন ১৫ই আগষ্ট তারিখে প্ৰায় ৬৩ বৎসর বয়সে, হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া হঠাৎ বন্ধ হওয়ায়, তাহার কলিকাতাস্থ নিজ বাটী ২, ২ ১নং হরিপাল লেনে, মৃত্যুমুখে পতিত হন। ২৭শে ভাদ্র ১৩৪২ সন তাহার বৃষোৎসর্গ শ্ৰাদ্ধ তাহার কলিকাতাস্থ নিজভবনে, বেদপাঠ প্ৰভৃতির দ্বারা যথাবিহিত শাস্ত্ৰানুসারে সুসম্পন্ন হইয়াছে। বহু বিশিষ্ট পণ্ডিত ও অধ্যাপকমণ্ডলী এই শ্রাদ্ধে যোগদানপূর্বক যথাযোগ্য বিদায় গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। শ্ৰাদ্ধবাসরে সংকীৰ্ত্তন, হামামহোপাধ্যায় পণ্ডিতপ্ৰবর নীলমণি শাস্ত্ৰীসাগর সার্বভৌম কত্ত্বক সংস্কৃত বিরচিত মৃতের গুণগাথা, কবি গিরিজা কুমার বসু মহাশয় রচিত কবিতা পঠিত ও বিতরিত হইয়াছিল। তিন দিন ধরিয়া বহু দরিদ্রনারায়ণ সেবা, ব্ৰাহ্মণ স্বজন আপ্যায়ণ, বেদপাঠ প্ৰভৃতি সকল প্ৰকার আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠান যথাযোগ্যভাবে সম্পাদিত হইয়াছিল। কলিকাতার সকল শ্রেণীরই খ্যাতনামা ভদ্রমহোদয়গণ তিন দিনই শ্ৰাদ্ধবাসরে উপস্থিত ছিলেন ।