পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘাটাল-জলসরার বিশ্বাস বংশ SS সর্বদা অনুভব করিতেন। তিনি কতবার পরিতাপের সহিত বলিয়াছেন —“ঈশ্বর হ’লো বিদ্যেসাগর আর আমি রইলুম সেই জালেই গাট দিতে । বিদ্যে, বিদ্যে ! এমি গুণ বিদ্যের ” এই সময় তঁাহার প্রথম পত্নীর অকাল মৃত্যুতে তিনি দারুণ মৰ্ম্মপীড়া অনুভব করেন এবং কিছু দিনের জন্য সমস্ত কাজ কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া পল্লীভবনে বসিয়া থাকেন। তাহার সম্বন্ধী ( মৃত পত্নীর বৈমাত্ৰেয় ভ্ৰাতা ) স্বৰ্গীয় ফকির চাদ গরাই মহাশয় তাহাকে নানা মতে প্ৰবোধ দিয়া পুনরায় কৰ্ম্মক্ষেত্রে আনয়ন করান ও জলসরা গ্ৰাম নিবাসী মুক্তারাম ম গুলোর কন্য। “ধনমণিার’’ সহিত তাহার বিবাহ দিয়া তাহাকে আবার সংসারী করান। এই দ্বিতীয় পত্নীর গর্ভে তাহাব যথাক্রমে একটি কন্যা ও একটি পুত্র জন্মগ্রহণ করেন। কন্যা-ক্ষেত্রমণি বৃকভানুপুর গ্রাম নিবাসী স্বরূপ চন্দ্র ওঝাব কনিষ্ঠ পুত্ৰ অভয়চন্দ্র ওঝার সহিত বিবাহিত হইয়া কিছু দিন সুখে সংসার করিয়া নিঃসন্তান অবস্থায় জীবন লীলা সংবরণ করেন । পুত্র-ভারত বিখ্যাত মৎস্য ব্যবসায়ী শ্ৰীগোষ্ঠবিহারী বিশ্বাস সন। ১২৭৮ সালের ২১শে চৈত্র মঙ্গলবার কৃষ্ণ। নবমী তিথিতে কলিকাতা মহানগরীতে জন্ম গ্ৰহণ করেন। যথা সময়ে পুত্রের “হাতে খড়িা” দিয়া শ্ৰীনাথ চন্দ্ৰ তাহাকে উপযুক্ত শিক্ষকের হাতে রাখিয়া উচ্চ শিক্ষাদানে কৃতসংকল্প হইলেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, বিদ্যাসাগর মহাশয় বিদ্যার বলে এতদূর উন্নত এবং তিনি নিরক্ষর বলিয়া আজও কত নিম্নস্তরে পড়িয়া আছেন—এই আক্ষেপ তাহার মনে গভীর রেখাপাত করিয়াছিল। এক্ষণে তিনি পুত্রকে সর্ব প্রযত্নে উচ্চ