পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘাটাল-জলসরার বিশ্বাস বংশ R 9 কন্যা! ক্ষীরোদ। সুন্দরীর সহিত গোষ্ঠ বিহারীর বিবাহ হয়। এই কন্যাটিকে যে দেখিয়াছে তাহারই মনে একটা স্থায়ী ছাপ রহিয়া গিয়াছে । কোনরূপ অত্যুক্তি না করিয়া ইহার সম্বন্ধে অসঙ্কোচে বলা যায় যেমেয়েটি রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী । বিবাহ দিবার পর সকলের সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধে, শ্ৰীনাথচন্দ্ৰ পুত্রের পড়াশুনা বন্ধ করিয়া দেন। সকলে মনে করিয়াছিল। এইবার পুত্রকে সহকারী পাইয়। শ্ৰীনাথচন্দ্র কারবারে যথেষ্ট উন্নতি করিবেন । কিন্তু তাহার অভিমত ছিল অন্যরূপ । মাছের কাজ--সামান্য কাজ। এ কাজে ছেলেকে আনিলে তাহার। ভবিষ্যৎ কোনরূপ আশাপ্ৰদ হইবে না—এবং আপিসে চাকুরী করিতে পারিলেই তাহার পরুম্যপদ লাভ হইবে—এই ধাবণার বশবৰ্ত্তী হইয়। তিনি একটি সামান্য ছাপাখানায় বিনা বেতনে শিক্ষার্গারূপে পুত্রের কৰ্ম্ম জীবন আরম্ভ করান। আগুণ বেশীদিন ছাই চাপা থাকে না। কৰ্ম্মী পুরুষের কৰ্ম্মের স্রোত ভিন্ন পথে চালিত হইলেও তােহ। যথাপথে পরিবর্তিত হইতে অধিক বিলম্ব হইল না । ছাপাখানায় অল্পদিন কাৰ্য্য করিবার পর গোষ্ঠ বিহারীর প্রথম পুত্র জ্যোতিশ্চিন্দ্রের জন্ম হয় ( সন ১১৯৮ সাল ২৩শে বৈশাখ )। পর বৎসর তাহার মাতৃ-বিয়োগ ও ভগ্নীর মৃত্যু অতি অল্পদিন মধ্যে ঘটে । গোষ্ঠ বিহারীর সংসার দিন দিন বাডিতে চলিল, কিন্তু তঁাহার নিজের কোন উপাৰ্জন নাই, এরূপ অবস্থায় কি করিয়া দিন নিৰ্বাহ হইবে এই ভাবিয়া তিনি তাহার মনিবকে কিছু বেতন ধাৰ্য্য করিতে অনুরোধ করিলে, তাহা উপেক্ষিত হয়। তখন তাহার মাতুল ফকির চাঁদ গারাই মহাশয় শ্ৰীনাথ চন্দ্ৰকে বলেন—“মুরুবি, ছেলেটাকে আমার হাতে দাও—আমি লিখতে পড়তে জানি না—ও জানে। দেখি আমার বুদ্ধি ও বিদ্যে দুয়ে'র