পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8 বংশ-পরিচয় ধন ও মান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাগ্যলক্ষ্মী যখন গোষ্ঠ বিহারীকে ৪টী পুত্র ও ৩টি কন্যা সন্তান প্ৰদান করেন তখন বৃদ্ধ শ্ৰীনাথ চন্দ্ৰ অতি আগ্রহে ও বিরাট সমারোহে গৌরী বেড় নিবাসী কোকিলচন্দ্ৰ ওঝার সহিত নিজ প্ৰথম পৌত্রী চারুবালার বিবাহ দেন। নয় বৎসরের বালিকাকে পাত্ৰস্থ করিয়া গৌরীন্দানের অক্ষয় পুণ্য সঞ্চয় হইয়াছে ভাবিয়া বৃদ্ধ স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়িলেন । কিন্তু অন্তরীক্ষে ভাগ্যবিধাতা যে বক্র হাসি হাসিয়াছিলেন তাহ। তিনি দেখিতে পান নাই । বিবাহের মাত্র নয় মাস পরে নিজ পিতৃকুল ও শ্বশুরকুলকে শোকসাগরে ভাসাইয়া কোকিল চন্দ্ৰ ইহলীলা ংবরণ করেন। সদ্য বিধবা বালিকা পৌত্রীর দিকে চাহিয়া শ্ৰীনাথ চন্দ্ৰ কপালে করাঘাত করিয়া বলিলেন, “হা জগদীশ, এই আমার গৌরাঙ্গনের ফল !” অনন্তর দারুণ শোকে অভিভূত শ্ৰীনাথ চন্দ্ৰ আর অধিক দিন এ যন্ত্রণা ভোগ করিতে পারেন নাই। এই ঘটনাব ছয় মাস পরে সন ১৩১০ সালের বৈশাখ মাসে তিনি ইহলোকের সকল সম্বন্ধ ছিন্ন করিয়া দিব্যপামে প্ৰয়াণ করেন। যেরূপ সমারোহে শ্ৰীনাথ চন্দ্ৰ পুত্রের বিবাহ দিয়াছিলেন, গোষ্ঠ বিহারীও সেইরূপ সমারোহে পিতৃশ্ৰাদ্ধ সম্পন্ন করেন । বিভিন্ন জেলা হইতে স্বসমাজস্থ সমস্ত লোককে সমন্বয় করিয়া তিনি শ্ৰাদ্ধ ক্রিয়া নিষ্পন্ন করান ও পিতার ন্যায় সমবেত সমাজপতি ও কুটুম্বগণ প্রদত্ত আশীৰ্ব্বাদী মাল্যের অধিকাৰী হন । মহাগুরু নিপাতের পর মানুষের কিছু ভাগ্য বিপৰ্য্যয় ঘটিয়া থাকে— হিন্দুদিগের এই ধারণা যে কুসংস্কারের ফল নয়—ইহার মূলে যে মহান সত্য নিহিত রহিয়াছে, তাহ যেন প্ৰমাণ করিবার জন্যই অল্প দিনের মধ্যে গোষ্ঠ বিহারীর তিনটি শিশুপুত্র বিনষ্ট হয়। শোকে, দুঃখে, মন বেদনায়